ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১,০৪১ জন
ফাইল ছবি
দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১,০৪১ জন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ২৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭,৪৬৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারী চারজনের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজন, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজন, ল্যাব এইড হাসপাতালে একজন এবং ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে একজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের বয়স ৭ থেকে ৬৩ বছরের মধ্যে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া নতুন রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের রোগী সংখ্যা ৩৭০ জন।
বিভাগ অনুযায়ী ভর্তির বিবরণে দেখা যাচ্ছে ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৩০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২০ জন, বরিশাল বিভাগে ১৭৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৯ জন, খুলনা বিভাগে ৪৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৫ জন, রংপুর বিভাগে ১৯ জন, সিলেট বিভাগে ৯ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৬ মৃত্যু, ভর্তি ৯৮৩ জন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে অনেকেই ঢাকার বাসিন্দা, তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলায় আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৯৯০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত মোট ৬৪,৪০৪ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
স্মরণযোগ্য, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে, ২০২৩ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ১,৭০৫ জন মারা যান এবং হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬৭,৪৬৪ জনের মধ্যে ৬১.৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮.১ শতাংশ নারী।
সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণকে বাড়ির আশেপাশে পানি জমা না হওয়ার ব্যবস্থা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা এবং প্রয়োজনে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়মিতভাবে ফোকাসড মনিটরিং চালাচ্ছে এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্প্রে ও জনসচেতনতা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








