হুমকির মুখে বাঘার পোল্ট্রি শিল্প
রাজশাহী: সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, ব্যাংক ঋণ জটিলতা, বার্ড ফ্লু, মুরগির খাদ্যের দাম ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার ফলে বাঘায় পোল্ট্রি শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে।
ইতোমধ্যে লোকসানের মুখে অনেক খামারি খামার গুটিয়ে নিয়েছেন।
পোল্ট্রি খামারিরা জানান, এখন ডিম এবং মুরগি বিক্রির ভরা মৌসুম। পরিবহন খরচ বৃদ্ধিতে উৎপাদিত ডিম ও মুরগি বাইরের পাঠাতে পারছেন না তারা। এই অজুহাতে মুরগির খাদ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত যুবকরা বেকারত্ব ঘোচাতে স্বল্প পুঁজি খাটিয়ে এ শিল্পে জড়িত হন। কিন্তু সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাব, দফায় দফায় পোল্ট্রি ফিডের দাম বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণে জটিলতা, বার্ড ফ্লু প্রতিরোধে ব্যর্থতায় প্রতিবছর মুরগি খামারের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উপজেলায় ছোট-বড় মিলে প্রায় পাঁচশ মুরগির খামার ছিল। পোল্ট্রি শিল্পে ধস নামার কারণে এখন খামারিরা বিপাকে রয়েছেন।
বয়লার পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা জানান, “জানুয়ারি থেকে মে মাস মুরগি বিক্রির ভরা মৌসুম। কিন্তু হরতাল-অবরোধে মুরগি পালনে খরচ বেড়ে গেছে।”
একাধিক খামারীর অভিযোগ, “অবরোধের অজুহাতে ব্যবসায়ীরা মুরগির খাবারের বিভিন্ন উপাদানের দাম বৃদ্ধি করেছে। অবরোধের কারণে এক দিনের মুরগির বাচ্চা প্রতিটি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় কিনেছেন। আগে প্রতিটি বাচ্চার দাম ২০ টাকা পর্যন্ত ছিল। ডিম পাড়া পর্যন্ত প্রতিটি মুরগির সাড়ে চারশ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। কিন্তু এখন সেই খরচ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ছয়শ টাকা হয়েছে। এখন প্রতিটি ডিম সাড়ে ছয় টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু প্রতিটি ডিম সাত টাকা দরে বিক্রি করতে না পারলে বিদ্যুৎ খরচ, প্রতিদিনের মজুরি এবং অন্যান্য খরচ পুষিয়ে লাভ করা কঠিন হয়ে পড়ে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম








