News Bangladesh

ব্যবসা-বাণিজ্য ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:৪১, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশে মন্দ ঋণ অবলোপনে শিথিলতা, নোটিশ বাধ্যতামূলক

বাংলাদেশে মন্দ ঋণ অবলোপনে শিথিলতা, নোটিশ বাধ্যতামূলক

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক মন্দ শ্রেণির খেলাপি ঋণ অবলোপনের সময়সীমা শিথিল করেছে। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঋণ অবলোপনের কমপক্ষে ৩০ কর্মদিবস আগে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাকে লিখিত নোটিশ দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি ১৮ ফেব্রুয়ারির পূর্বের নীতিমালা সংশোধন করে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আগে যেসব ঋণ টানা দুই বছর ধরে মন্দ বা ক্ষতিজনক হিসেবে বিবেচিত হত, সেগুলোই অবলোপন করা যেত। নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, এখন যেসব ঋণ মন্দ ও ক্ষতিজনক অবস্থায় রয়েছে এবং ভবিষ্যতে আদায়ের সম্ভাবনা কম, সেসবই অবলোপন করা যাবে। তবে কালানুক্রমিকভাবে পুরোনো ঋণগুলিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

নোটিশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কারণ ঋণ অবলোপনের পরও ঋণগ্রহীতা দায়মুক্ত হবেন না; সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত তিনি খেলাপি হিসাবেই বিবেচিত হবেন।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মৃত ঋণগ্রহীতার নামে বা তার একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ঋণ ব্যাংক নিজ বিবেচনায় অবলোপন করতে পারবে। তবে মৃত ব্যক্তির উপার্জনক্ষম উত্তরসূরি আছে কি না, তা দেখতে হবে। ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে ঋণ আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নগদ প্রণোদনার সুযোগও রাখা হয়েছে।

ঋণ অবলোপনের আগে বন্ধকীকৃত সম্পত্তি বিক্রির সব প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে ‘অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩’-এর আওতায় মামলাযোগ্য না হলে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ এবং মৃত ব্যক্তির নামে থাকা ঋণ অবলোপন করা যাবে। অবলোপনের আগে ঋণের স্থিতি থেকে স্থগিত সুদ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট অর্থের সমপরিমাণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ঋণ আংশিকভাবে অবলোপন করা যাবে না এবং ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়া কোনো ঋণ অবলোপনের সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন: চারদিনের ব্যবধানে আবারও কমল সোনার দাম

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “আগের তুলনায় ব্যাংক খাতে ডলার সংকট কমেছে, রিজার্ভ বেড়েছে। ফলে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মন্দ ঋণ অবলোপনে শিথিলতা ব্যাংকগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনা সহজ করবে এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে বাস্তবভিত্তিক করবে।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়