News Bangladesh

ব্যবসা-বাণিজ্য ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:১৮, ১১ অক্টোবর ২০২৫
আপডেট: ১৫:০২, ১১ অক্টোবর ২০২৫

‘১২শ টাকার এলপিজি সিলিন্ডার ১৪শ টাকা বিক্রির দায় ব্যবসায়ীদের’

‘১২শ টাকার এলপিজি সিলিন্ডার ১৪শ টাকা বিক্রির দায় ব্যবসায়ীদের’

জ্বালানি উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কাবির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিদ‍্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ১২০০ টাকার এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হয় ১৪০০ টাকায়। এটার দায় নিতে হবে ব‍্যবসায়ীদের। 

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “এলপিজির প্রধান চ্যালেঞ্জ এখন দাম। ১২০০ টাকার সিলিন্ডার বাজারে অনেক ক্ষেত্রে ১৪০০–১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই দামের নিয়ন্ত্রণ, লজিস্টিক উন্নয়ন এবং প্রাইভেট সেক্টরের কার্যকারিতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক মনোভাব ছাড়া দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের প্রাথমিক জ্বালানির ঘাটতি কোনো স্বাভাবিক সংকট নয়, এটি একটি পরিকল্পিত অবস্থা, যা ক্ষমতাসীন কিছু রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কারণে তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্যাস লাইনের পরিকল্পনায় গ্যাসের চাহিদা উপেক্ষা করা হয়েছে, ফলে শিল্প ও গৃহস্থালিতে বিপুলসংখ্যক অবৈধ সংযোগ সৃষ্টি হয়েছে।”

ফওজুল কাবির খান বলেন, “স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন প্রতিবছর কমছে— বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট উৎপাদন কমলেও আমরা মাত্র ৭০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট নতুন গ্যাস সংগ্রহ করতে পেরেছি। এজন্য এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে, যদিও এর উচ্চমূল্য নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।”

আরও পড়ুন: রাজধানীর বাজারে সবজির দাম লাগামহীন, চার পদেই ৩০০ টাকা খরচ

তিনি জানান, এলএনজি আমদানিতে সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া জড়িত থাকায় স্বল্পমেয়াদে ঘাটতি মোকাবিলায় এলপিজি কার্যকর বিকল্প হতে পারে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আর সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়