News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:২০, ৫ অক্টোবর ২০২৫

সেফ এক্সিটের খোঁজে উপদেষ্টারা, বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ নাহিদের

সেফ এক্সিটের খোঁজে উপদেষ্টারা, বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ নাহিদের

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক ও সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। 

সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, অনেক উপদেষ্টা নিজের ব্যক্তিস্বার্থে কাজ করেছেন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে ‘সেফ এক্সিট’ (নিরাপদ প্রস্থানের) পথ খুঁজছেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, অনেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। কেউ কেউ গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাও করেছেন। তারা মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনই তাদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে। আর তাই এখন তারা নিজের নিরাপত্তার জন্য সেফ এক্সিটের পথ খুঁজছেন।

সাবেক এই উপদেষ্টা আরও বলেন, যারা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাদের অনেককেই বিশ্বাস করা আমাদের ভুল হয়েছে। আমাদের উচিত ছিল ছাত্র নেতৃত্বকেই শক্তিশালী করা এবং সরকারে গেলে সম্মিলিতভাবে কাজ করা। আমরা নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলের ওপর যে আস্থা রেখেছিলাম, সেই জায়গায় আমরা আসলে প্রতারিত হয়েছি।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দল একমত: আখতার

নাহিদ ইসলাম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা এই সরকারে থেকেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, সময় আসলে তাদের নামও উন্মুক্ত করা হবে।

উপদেষ্টাদের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আঁতাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে। তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবছেন। তারা মনে করছেন— তাদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন; এই সমর্থন ছাড়া তারা সরকার পরিচালনা করতে পারবেন না। এটাও সত্য, রাজনৈতিক দলগুলো নানান বাধা দিয়েছে।

ছাত্রনেতাদের উপদেষ্টা হিসেবে মনোনয়ন ভুল ছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকারে ছাত্রদের উপস্থিতি না থাকলে এই সরকার তিন মাসও টিকতে পারত না। প্রথম ছয় মাস সরকারকে উৎখাত করার, প্রতিবিপ্লব করার নানা ধরনের চেষ্টা চলমান ছিল। এমনকি এখনো মাঝে মাঝে সেই তৎপরতা দেখা যায়; সেই ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনও চলমান।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠন না করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রসঙ্গেও নাহিদ ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সম্মত হয়ে নাগরিক সমাজের সঙ্গে মিলে একটি জাতীয় সরকার গঠন করত, তবে ছাত্রদের কাঁধে এত বড় দায়িত্ব আসত না। ঐতিহাসিক প্রয়োজন এবং সময়ের প্রয়োজনে সেই দায়িত্ব আমাদের কাঁধে নিতে হয়েছিল।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়