গুম প্রতিরোধে শীঘ্রই আইন প্রণয়ন করা হবে: আইন উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
সরকার গুম প্রতিরোধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি পৃথক আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘কমনওয়েলথ চার্টার যুব কর্মশালা’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. নজরুল বলেন, কমনওয়েলথ চার্টারের গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধকে সামনে রেখে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে একাধিক আইন সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর একটি বড় ধাপ হচ্ছে গুম প্রতিরোধ আইন, যা শিগগিরই মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করে প্রণয়ন করা হবে।
তিনি জানান, বিচারিক ব্যবস্থাকে আধুনিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সরকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আদালতগুলোর পুরো কার্যক্রমকে ধাপে ধাপে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছতা, মেধানির্ভর মূল্যায়ন ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করবে সরকার
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি) যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে নতুনভাবে সংশোধনের কাজ শুরু করেছে। এ সংক্রান্ত খসড়া ইতোমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে এবং তা দ্রুতই প্রণীত হবে। সংশোধিত আইনটি দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ড. আসিফ নজরুল তার বক্তব্যে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানকে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। এটি ছিল গুম, হত্যা, বিচারহীনতা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণদের এক আত্মজাগরণের বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম যেভাবে নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, তা আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এই ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার গুম প্রতিরোধ ও বিচার সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি