News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ২৭ আগস্ট ২০২৫
আপডেট: ২০:১৯, ২৭ আগস্ট ২০২৫

বিএসসি–ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দ্বন্দ্বে সরকারের ৮ সদস্যের কমিটি

বিএসসি–ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দ্বন্দ্বে সরকারের ৮ সদস্যের কমিটি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে, প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকার একটি ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। উভয় পক্ষের পেশাগত দাবির যৌক্তিকতা যাচাই করে সুপারিশ প্রদানের জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বুধবার (২৭ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

গত কয়েক মাস ধরে দেশের প্রকৌশল অঙ্গনে দুটি বড় পক্ষ আন্দোলন চালিয়ে আসছে। 

একদিকে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা উপসহকারী প্রকৌশলী পদে বিএসসি ডিগ্রিধারীদের নিয়োগের সুযোগ না দেওয়াসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। অন্যদিকে, বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীরা, বিশেষ করে বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে ‘প্রকৌশলী’ পদবি ব্যবহার করতে না দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। দুই পক্ষের এই অনড় অবস্থান এবং পাল্টাপাল্টি আন্দোলনের মুখে সরকার এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ঢাকার সব বাস চলবে একক ব্যবস্থায়: প্রেস উইং

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) সভাপতি প্রকৌশলী ম. কবির হোসেন, বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশনের (বিএইটিই) সভাপতি প্রফেসর ড. প্রকৌশলী তানভির মঞ্জুর।

কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। কমিটির প্রজ্ঞাপনে অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবিরের স্বাক্ষর রয়েছে।

কমিটির মূল কার্যপরিধি হলো উভয় পক্ষের পেশাগত দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরি করা। এই প্রতিবেদন সরকারকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে কমিটি নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার (কো-অপট) ক্ষমতাও রাখে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।

প্রকৌশলীদের এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। বিএসসি ডিগ্রিধারীরা এবং ডিপ্লোমাধারীরা নিজ নিজ পেশাগত মর্যাদা এবং অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছেন। এই বিরোধ শুধু পেশাজীবীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি প্রকৌশল শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি করছে। সরকারের এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত এই বিরোধের একটি শান্তিপূর্ণ এবং যৌক্তিক সমাধান খোঁজার প্রথম পদক্ষেপ। কমিটির সুপারিশের উপর ভিত্তি করে সরকার এমন একটি নীতি গ্রহণ করতে পারে, যা উভয় পক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে এবং দেশের প্রকৌশল খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়