জয়কে ‘অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা’ মামলায় মাহমুদুর রহমান খালাস

ফাইল ফটো
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় সাত বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায়ে খালাস পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী তানভীর আহমেদ আল-আমিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
খালাস পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মাহমুদুর রহমান বলেন, “আপিলের রায়ে আমি খুশি। ফ্যাসিস্ট সরকার পতন না হলে আমি হয়ত খালাস পেতাম না।"
২০২৩ সালের অগাস্টে এ মামলার রায়ে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাকি তিনজন হলেন– জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: ৮ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিল বিএনপি
জয়ের গোপন তথ্যের জন্য এফবিআইএর এক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে আট বছর আগে সিজারকে সাজা দেয় নিউ ইয়র্কের একটি আদালত। এরপর ২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে থেকে মামলা হওয়ার সময় পর্যন্ত জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র’ করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন আদালতে এসে সাক্ষ্য দেন।
২০২৩ সালের ১৭ অগাস্ট ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান দুজনই এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান। তাদের অনুপস্থিতিতেই এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশে ফিরে ৩ অক্টোবর আপিলের শর্তে জামিন পান মাহমুদুর রহমান। পরে গত ১২ ডিসেম্বর সাজার বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন তিনি। ওইদিন জামিন পেয়েছিলেন মাহমুদুর রহমান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি