News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:৩০, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ‘বন্দুকযুদ্ধ’ 

কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ‘বন্দুকযুদ্ধ’ 

ছবি: সংগৃহীত

ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বাইসারান এলাকায় মঙ্গলবারের (২২ এপ্রিল) ভয়াবহ সশস্ত্র হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। 

এ ঘটনার একদিন পর বুধবার (২৩ এপ্রিল) দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি চলছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। 

দেশটির কর্মকর্তারা জানান, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র বন্দুকযুদ্ধ চলছে। জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলার তানিমার্গ এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সোমবার পেহেলগামে ২৬ জন নিরীহ পর্যটককে হত্যা করার একদিন পরই এই অভিযান শুরু হয়েছে।

এক কর্মকর্তা বলেছেন, ওই এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপস্থিতি রয়েছে, এমন সংবাদ পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী তাংমার্গকে ঘিরে ফেলে। পরে গোলাগুলি শুরু হয়।

সূত্র জানায়, আজ সন্ধ্যায় এই এনকাউন্টার শুরু হয়েছে। দুই সন্ত্রাসী ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের গুলি করে হত্যা করে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই কুলগামে শুরু হয় এই সংঘর্ষ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পহেলগাঁওয়ের বেইসারান ঘাসবনে ভয়াবহ হামলার পর পুরো কাশ্মীর উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে। কুলগামে চলমান এই এনকাউন্টার সেই সতর্কতারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।

সেনা, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, এবং পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: পুরুষদের লক্ষ্য করেই কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা

এর আগে পহেলগাঁওয়ের ভয়াবহ সশস্ত্র হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। নিহতদের সবাই পর্যটক ছিলেন। এদের মধ্যে দুইজন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এছাড়া এ হামলায় যারা পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে তারা শিগগিরই কঠোর জবাব পাবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

রাজনাথ হুমকি দিয়ে বলেন, পহেলগাঁওয়ে কাপুরষিত হামলায় আমরা অনেক নিরীহ মানুষকে হারিয়েছি। এ ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। যেসব পরিবার প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। আমি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করছি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। আমি দেশবাসীকে জানাচ্ছি সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এ হামলার সঙ্গে যারা জড়িত শুধুমাত্র তারা নয়, যারা পর্দার আড়ালে কাজ করেছে… অভিযুক্তরা শিগগিরই কঠোর জবাব পাবে। আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই।

এ ঘটনার পর কাশ্মীর সফর করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এলজিও মনোজ সিনহা এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। 

শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত সন্ত্রাসের সামনে কখনো মাথা নত করবে না। এই কাপুরুষোচিত হামলার জন্য দায়ীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

এছাড়া নিজের সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

তিনি হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেন, এই নৃশংস হামলার পেছনে যারা রয়েছে, তারা শাস্তি পাবে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরও দৃঢ় হবে।

কাশ্মীরের হামলা নিয়ে অফিসিয়ালি এখনও কোনো বক্তব্য দেয়নি ভারত সরকার। এমনকি এই ঘটনায় আহতদের সংখ্যাও প্রকাশ করেনি মোদির দেশ। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন তিন বন্দুকধারীর স্কেচ প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়