সিটি নির্বাচনে মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত
ঢাকা: আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নামাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার ইসি সচিবালয় সচিব সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “প্রার্থী যেই হোক না কেন অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। গত রোববারও ভ্রাম্যমাণ আদালত এক প্রার্থীকে ঘোড়ার গাড়ি চড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসায় ২০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে। সুতরাং বিধি ভঙ্গ করে কেউ পার পাবেন না। তাই বিধিমালা অনুযায়ী প্রার্থীদের আচরণ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে আছেন। তারা আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের বিষয়টি দেখছেন। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে থেকে ৬জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতি সিটিতে নিয়োগ করা হবে। তারা ১৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন।”
ইসি সচিব জানান, নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটগ্রহণের দিন থেকে পূর্ববর্তী ২১ দিন আগে অর্থাৎ ৭ এপ্রিলের পূর্বে প্রচারণা চালানো যাবে না। ১০ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর প্রার্থীরা চূড়ান্ত প্রচারণা চালাবেন। তবে বিনা প্রতীকে প্রার্থীরা তিন দিন সীমিত আকারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।
সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১০ এর অনুচ্ছেদ ৪-এ নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের ২১ দিন পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে না।
বিধি অনুসারে, ভোটগ্রহণ দিন থেকে পূর্ববর্তী ২১ দিন প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে সেখানে প্রার্থীর ছবি, দলীয় প্রতীক ও দলের নাম ব্যবহার করতে পারবে না। এমনকি ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচারণা বন্ধ করতে হবে।
তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ মার্চ, যাচাই-বাছাই ১ ও ২ এপ্রিল এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ১০ এপ্রিল, ভোটগ্রহণ ২৮ এপ্রিল।
গত রোববার (২৯ মার্চ) বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে মোট ৬০ সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ও ১৭৭৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আবার অনেকে জমা দিতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশও করেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএ/এমএম
নিউজবাংলাদেশ.কম








