‘রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীরা সংকটে রয়েছে’
ঢাকা: বিপুল রাজস্ব দিয়ে সুলভ মূল্যে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি সরবরাহ করে যারা দেশের ভিত্তি রচনায় সহায়তা করছে সেই রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীরা আজ গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। একথা বলেছেন বারভিডা সেক্রেটারি জেনারেল মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবর।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস্ ইম্পোর্টাস এন্ড ডিলার্স এসোসিয়েশনের আয়োজনে গভীর বাণিজ্য সংকটে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘‘৩ মাসের রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে শোরুমের শাটার খুলতে পারিনি। কর্মচারীদের বেতনও দিতে পারিনি। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং খাতের সাথে পারস্পরিক আস্থার গভীর সংকট তৈরি হয়েছে। এসব কারণে গাড়ি ব্যবসায়ীরা এখন শঙ্কিত।’’
বাবার এসময় আরো বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে আমদানিকৃত গাড়ি চালিয়ে ঢাকায় আনার জন্য কোনো চালক রাজি হয় না। এর ফলে আমাদের গাড়ি আটকে গেছে। বাড়ছে ক্ষতির পরিমাণ।’’
তিনি বলেন, ৪ মাসে আমদানিকৃত ৫ হাজার ৬শ’ ৫৫টি এবং চট্টগ্রাম ও মংলায় ৭ হাজার ৮শ’ ২৮টি গাড়ি খালাসের অপেক্ষায় আছে। খালাস ব্যাহত হওয়ায় ১২শ কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব আটকে পড়েছে।’’
৩ মাসে ৭ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে সরকারের কাছ ৩টি দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘স্বাভাবিক নিলাম প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে নির্দেশনা দিতে অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’’
পাশাপাশি ৩ মাসের সুদ মওকুফ ও মেয়াদি ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দেয়ার জন্য তিনি অর্থমন্ত্রীর মনোযোগ দাবি করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিনি দাবি জানান, খালাসের অপেক্ষায় আটকে পড়া গাড়ির ডেমারেজ চার্জ সম্পূর্ণ মওকুফ করে দেয়া হোক।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দেশে তারা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব দিয়ে থাকি। এখন আমাদেও বিপদের সময় সরকারের সহায়তা না করলে তা হবে বিমাতাসুলভ আচরণ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডেন্ট এম এ হামিদ শরীফ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবিএম আনিসুজ্জামান পিনু, ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্বব মো. শাহ সেলিম টিপু প্রমুখ।
নিউজবাংলাদেশ.কম/টিএ/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম








