News Bangladesh

কৃষি ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:৪১, ২০ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লায় আমনের মাঠ মাতাচ্ছে ব্রি ধান-১০৩

কুমিল্লায় আমনের মাঠ মাতাচ্ছে ব্রি ধান-১০৩

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার আমন মৌসুমে কৃষকদের নজর কেড়েছে নতুন ধানের জাত ব্রি ধান-১০৩। বেশি ফলন, ঝরঝরে ভাত আর লম্বা খড়ের কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক হারে চাষ হচ্ছে এ জাতের ধান।

গত বছর জেলায় ১১১ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান-১০৩ চাষ হলেও চলতি বছর তা হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। শুধু দেবিদ্বার উপজেলায়ই প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে এই ধান চাষ হচ্ছে।

কৃষক ও কৃষি বিভাগ জানায়, অন্য জাতের ধান যেখানে হেক্টরপ্রতি ৬ টন ফলন দেয়, সেখানে ব্রি ধান-১০৩ দিচ্ছে ৮ টনের বেশি। ধানের চাল চিকন, ভাত ঝরঝরে থাকে দীর্ঘ সময়, খাওয়ার স্বাদও ভালো। এ ছাড়া খড় বেশি মেলায় গবাদিপশুর খাদ্যের দিক থেকেও এই ধান জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চাষের মেয়াদ কম হওয়ায় পরবর্তী সময়ে অন্য ফসলের জন্যও জমি ব্যবহার করতে পারছেন কৃষকরা।

দেবিদ্বারের বাগমারা গ্রামের কৃষক আবদুল কাদের জানান, তিনি ৬০ শতকে ব্রি ধান-১০৩ চাষ করে আশাতীত ফলন পেয়েছেন। এখন আশপাশের গ্রামের কৃষকরা তার বাড়ি থেকে বীজ নিতে আসছেন।

কাবিলপুর গ্রামের কৃষক রফিক আহমেদ জানান, তিনি এক একর জমিতে এই ধান চাষ করে ২ টনের বেশি ফলন পেয়েছেন। ধান কাটতে সময় লেগেছে ১২৫-১৩০ দিন। ফলন দেখে তিনি নিজের সংগ্রহ থেকে স্থানীয় কৃষকদের বীজ সরবরাহ করেছেন।

দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় জানান, দু’বছর আগে ১০ কেজি বীজ দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এই ধানের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বহুগুণ। এবারই প্রথম ৬০০ হেক্টরের বেশি জমিতে এই ধান চাষ হচ্ছে দেবিদ্বারে।

আরও পড়ুন: ব্যাগিং প্রযুক্তিতে আম উৎপাদন, রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপে

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মো. এখলাছুর রহমান বলেন, "কৃষক বড় অর্থনীতিবিদ। ধানের ফলন, চালের গুণমান, খড়ের পরিমাণ, চাষের সময়—সব বিবেচনা করে ব্রি ধান-১০৩-এ আগ্রহী হয়েছেন।"

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, "কৃষকের চাহিদা মেটাতে যেসব গুণাগুণ থাকা দরকার, তার অনেকগুলোই এই জাতটিতে রয়েছে। তাই আগ্রহও বেড়েছে।"

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়