ব্যাগিং প্রযুক্তিতে আম উৎপাদন, রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপে

ছবি: সংগৃহীত
দিনাজপুরের হিলিতে প্রথমবারের মতো ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে চাষ হয়েছে রপ্তানিযোগ্য আম। নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদনে সফল হয়ে ইউরোপেও রপ্তানি করেছেন স্থানীয় উদ্যোক্তা নিরঞ্জন সরকার। কৃষি বিভাগের সহায়তায় নতুন এ প্রযুক্তি স্থানীয় চাষিদের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করেছে।
হিলির গোহাড়া গ্রামের কৃষক নিরঞ্জন সরকার ২০২৯ সালে ২০০টি আমগাছের চারা রোপণ করেন। বর্তমানে তিনি ১ একর জমিতে বারি-৪ গৌরমতি ও আম্রপালি জাতের আম চাষ করছেন। পার্টনার ও গ্যাপ প্রকল্পের আওতায় গড়া বাগানে তিনি ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। এতে আম বিষমুক্ত, পোকার আক্রমণমুক্ত এবং রপ্তানিযোগ্য হয়ে উঠেছে।
ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তিতে নির্দিষ্ট বয়সে ফলকে ব্যাগ দিয়ে আবৃত করা হয়। ফলে বালাইনাশকের ব্যবহার ৭০-৮০% কমে যায় এবং ফলনের গুণগত মান ও সংরক্ষণকাল বাড়ে।
নিরঞ্জন সরকার জানান, এখন পর্যন্ত তিনি ৪৫০ কেজি আম ইউরোপে রপ্তানি করেছেন, যা থেকে আয় হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। তার বাগানে কাজ করে আয় করছেন এলাকার বেকার তরুণরাও। প্রতিবছর এ বাগান থেকে আয় হচ্ছে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে হিমাগারের ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে রাস্তায় আলু ফেলে অবরোধ
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, “এটি হিলিতে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতির প্রথম প্রয়োগ। পার্টনার প্রকল্পের আওতায় মাটি ও পানি পরীক্ষা, সঠিক বালাইনাশক ব্যবহারের সময় এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এই প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি