News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:২২, ২৯ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ২০:৫৮, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

বিশ্বকাপের নিয়ম ভঙ

আইনি লড়াইয়ে নামবেন আইসিসি সভাপতি

আইনি লড়াইয়ে নামবেন আইসিসি সভাপতি

ঢাকা: আইসিসির সভাপতি হিসেবে বিজয়ী দলের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দেয়ার কথা বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের। কিন্তু এবার সেই প্রথা ভেঙেছে আইসিসির চেয়ারম্যান ও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সাবেক সভাপতি নারায়ণ স্বামী শ্রীনিবাসন।

শ্রীনিবাসনের ইচ্ছাতেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি ভারতের মিডিয়ার। তবে আইসিসির নিয়ম ভাঙার কারণে আইনি লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়েছে আইসিসির সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল।

আইসিসির গঠনতন্ত্রে বলা আছে, ‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় শিরোপা তুলে দেবেন আইসিসির সভাপতি।’ কিন্তু কি কারণে মুস্তফা কামালকে দেখা গেল না পুরস্কার মঞ্চে? সেখানে কেন শ্রীনি? এ ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুস্তফা কামাল।

ফাইনাল ম্যাচের পর মেলবোর্নে গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যা হয়েছে, তা আইসিসির গঠনতন্ত্র বিরোধী। এটা অপরাধ। আমি আইনি লড়াইয়ে নামব।”

আইসিসির নিয়াম অনুয়ায়ী বিশ্বকাপ বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের হাতে শিরোপা তুলে দেয়ার কথা ছিল আইসিসির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালের। যে কথা আইসিসির গঠনতন্ত্রও খেলা আছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী ১৯৯৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে লর্ডসে স্টিভ ওয়াহদের হাতে শিরোপা তুলে দিয়েছিলেন সেই সময়ের আইসিসি সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া। এরপর থেকে প্রতিবার আইসিসির সভাপতির হাত দিয়েই বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেয়া হয়েছে।

অনেক ধারণা, এমসিজিতে কোয়ার্টার ফাইনালে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন কামাল। আম্পায়ারদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে ক্ষান্ত হননি, সেই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন আইসিসির সভাপতি। এমনকি আইসিসি থেকে পদত্যাগ করারও হুমকি দিয়েছিলেন মুস্তফা কামাল।

সেই কারণে আইসিসির চেয়ারম্যান শ্রীনিবাসন এমটা ঘটিয়েছে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন। মেলবোর্নে উপস্থিত থাকার পর মুস্তফা কামালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে। আইসিসির সভাপতি পদ অবশ্য এখন অনেকটাই অলংকারিক। সব ক্ষমতা ঐ চেয়ারম্যান শ্রীনির হাতে?

সাক্ষাৎকারে মুস্তফা কামাল বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী আইসিসির সভাপতি চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দেবে। কিন্তু এবার তা হলো না। আমি বলব এটা আইনের পরিপন্থী। আমি চুপ করে বসে থাকব না। দেশে ফিরেই আইনি মোকাবেলা করব। সভাপতি হিসাবে আইসিসির সব গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে পুরস্কার দেয়ার দায়িত্ব আমার। কিন্তু আজ আমার সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। আমি আইনিভাবে এর বিরুদ্ধে মোকাবেলা করব।”

উল্লেখ কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “ঐ ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। আমি একজন সাধারণ ক্রিকেট ভক্ত হিসাবে কথা বলেছিলাম। এটা বলতেই হবে। আমি ক্রিকেটকে ভালোবাসি। আমি ঐ ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। ম্যাচে আম্পায়ারদের পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলেছি।”

সেসময় তিনি আরও বলেছিলেন, “আইসিসির সভাপতি হলেই যে কিছু বলা যাবে না, এমনটা নয়। আমি যা বলেছি, তা ক্রিকেটের স্বার্থেই। আইসিসি ও বাংলাদেশের স্বার্থেও। কারণ এভাবে চললেতো হবে না। বিশ্বের মধ্যে ক্রিকেট ইভেন্ট ভালোমতো বিকশিত হবে না।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এমএম

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়