News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:৩১, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

‘আ.লীগকে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে’

‘আ.লীগকে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে’

ছবি: সংগৃহীত

বৈপ্লবিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘জাতীয় ঐক্য ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগকে একদিকে চাবেন তারা রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হোক আবার আপনারা তাদের বিচার করবেন না, পুলিশ দিয়ে তাদের কর্মসূচি বাধা দেবেন, এত স্ববিরোধিতা ঠিক নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বৈপ্লবিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আওয়ামী লীগের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের জন্য মাঠে নামতে দেবেন না, মানি, সমর্থন করি কিন্তু এভাবে কতদিন রাজপথে পুলিশ দিয়ে ঠেকাবেন? আপনারা বলবেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে চাই না, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না কিন্তু কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন? আইনি কোনো পদক্ষেপ কি এই সরকার নিচ্ছে? না।

আরও পড়ুন: নতুন কর্মসূচি নিয়ে আসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বলেছিলাম, সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। সে অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের আইন সংশোধন করার দাবি জানিয়েছিলাম, এই দেশের মানুষ দাবি জানিয়েছিল। এই সরকার অধ্যাদেশ এবং আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন কিন্তু হঠাৎ করে ক্যাবিনেট মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন, এটা করা যাবে না। কেন?

তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্ধারণ হোক আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে কি না। সংবিধানে বিধান সংযোজন আছে সে অনুযায়ী আপনারা আইন করুন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, কাউকে কাউকে বলতে শোনা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাদের বিচার হচ্ছে সেই বিচারে হয়তো অবজারভেশন আসবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির বিষয়ে, সেটা অত্যন্ত দুর্বল অবজারভেশন হবে। তখনো আপনাদেরকে প্রশাসনিক আদেশ দিতে হবে, আইন প্রণয়ন করতে হবে সেই অবজারভেশনের নিরিখে। এখন যদি আপনারা সোচ্চার হন বিচারের জন্য, বাংলাদেশের মানুষ চায় বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী রাজনীতি একদম নির্মূল হয়ে যাক সেই ব্যবস্থা আপনারা নিতে পারেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কারের মধ্যে সে রিপোর্ট আসবে কি না, জানি না। তবে নিশিরাতের বিচারকদের বহাল রেখে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে চূড়ান্তভাবে স্বাধীন করা যাবে কি না, আমার সন্দেহ আছে।

সরিষার মধ্যে ভূত রেখে কখনো সরকার সফল হতে পারবে না এমন সতর্কবাণী দিয়ে তিনি বলেন, সরিষার মধ্যে ভূত রেখে কখনো প্রধান উপদেষ্টা আপনি সফল হতে পারবেন না। সুতরাং বিচার ব্যবস্থা হোক, প্রশাসনিক ব্যবস্থা হোক, নির্বাচনী ব্যবস্থা হোক সর্বত্র ফ্যাসিবাদের দোসরদেরকে আপনাকে ক্লিন করতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা যে সাংবিধানিক রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই সে সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেন নির্বাচনমুখী সংস্কারের দিকে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, নির্বাচনমুখী সংস্কারের জন্য যেসব সংস্কার স্বল্প মেয়াদে সংস্কার করা দরকার সেগুলো চিহ্নিত করুন, সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করুন, সেগুলোর আইনি সংস্কার করুন। আইনি সংস্কারের পর যদি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজন হয় সেটা করবেন, সে জন্য কত সময় লাগবে সেটা আমরা জানি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানসহ আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদের সদস্যরা এসময় আরও বক্তব্য দেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়