শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে পাঠানো চিঠির জবাব দেয়নি ভারত
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা থেকে দিল্লিকে পাঠানো সর্বশেষ কূটনৈতিক চিঠিসহ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণসংক্রান্ত কোনো পত্রেরই এখনো জবাব দেয়নি ভারত
বুধবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তৌহিদ হোসেন জানান, দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে নোট ভারবাল আকারে পাঠানো কূটনৈতিক পত্রের উত্তর এত দ্রুত আসার সম্ভাবনা নেই।
তার ভাষায়, আগের চিঠিগুলোরও কোনো জবাব আমরা পাইনি। তাই কয়েক দিনের মধ্যে নতুন চিঠির উত্তর চলে আসবে—এটা বাস্তবসম্মত নয়। অবশ্যই আমরা আশা করি উত্তর আসবে, তবে এক সপ্তাহের মধ্যে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর তাকে ফেরত আনার জন্য বাংলাদেশ একাধিকবার দিল্লিকে চিঠি পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি। ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ওই আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড–সংশ্লিষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। রায়ের পরপরই বাংলাদেশ সরকার প্রত্যর্পণ চুক্তির ভিত্তিতে তাকে ফেরত দেওয়ার আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়ে তৃতীয়বারের মতো ভারতকে চিঠি পাঠায়।
আরও পড়ুন: ‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরত পাঠাতে আবারও চিঠি দেবে বাংলাদেশ’
চিঠির জবাব না দিলেও রায় ঘোষণার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নিকটপ্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা সব সময় সব অংশীজনের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভারতীয় পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। সরকার এ বিষয়ে কোনো ভূমিকা রাখবে না।
একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করেন, পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য কোনো চাপ নেই। ফ্রান্স থেকে এয়ারবাস ক্রয় না করার সিদ্ধান্ত ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








