News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীর ৪৪ পুকুর–জলাধার সংরক্ষণ ও সংস্কারের উদ্যোগ 

রাজধানীর ৪৪ পুকুর–জলাধার সংরক্ষণ ও সংস্কারের উদ্যোগ 

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে রাজধানীর ৪৪টি প্রাকৃতিক পুকুর–জলাধার সংরক্ষণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) কেরানীগঞ্জের দড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা ও মহানগরীর ৪৪টি খাস পুকুর ও জলাশয় সংস্কার প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে পরিচালিত এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'জাতীয় সম্পদ হিসেবে খাস পুকুর ও জলাশয় রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ অপরিহার্য।'

তিনি জানান, সরকারি খতিয়ান অনুযায়ী ঢাকা জেলায় মোট ১১৩টি খাস পুকুর রয়েছে, যার মধ্যে প্রথম ধাপে ৪৪টি জলাশয় সংস্কারের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে ৯ দিন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, 'সংস্কার কাজের আওতায় সীমানা নির্ধারণ, অবৈধ দখল উচ্ছেদ, পুনঃখনন, পাড় বাঁধাই, ঘাট নির্মাণ, ওয়াকওয়ে, বেঞ্চ স্থাপন এবং বৃক্ষরোপণ করা হবে। এর মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং নগরবাসীর জন্য পরিবেশবান্ধব বিনোদনকেন্দ্র তৈরি হবে।'

এ সময় তিনি পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি পলিথিন দূষণ রোধে জনসচেতনতা ও নাগরিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন।

ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ প্রকল্পের পটভূমি তুলে ধরে বলেন, 'ঢাকা জেলার ১১৩টি খাস পুকুরের মধ্যে মাত্র ১৫টি ইজারাযোগ্য। বাকিগুলো কচুরিপানায় ভরা, পানিহীন এবং ব্যবহারের অযোগ্য। মৎস্য চাষ তো দূরের কথা, এগুলো পুকুর হিসেবেও চেনা যায় না। এই ব্যবহার অনুপযোগী পুকুরগুলোকেই আমরা প্রথম পর্যায়ে সংস্কারের জন্য বেছে নিয়েছি।'

তিনি জানান, কেরানীগঞ্জে এ উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকা জেলার ৪৪টি পুকুরের খননকাজ একযোগে শুরু হলো। এর মধ্যে নবাবগঞ্জের ৬টি, দোহারের ৪টি, কেরানীগঞ্জের ৬টি, সাভারের ৪টি, আশুলিয়ার ১০টি, আমিনবাজারের ২টি, তেজগাঁওয়ের ১টি এবং ধামরাইয়ের ১১টি পুকুর রয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, 'এ ৪৪টি পুকুরে প্রায় দুই লাখ ঘনমিটার মাটি খনন করা হবে। এছাড়াও ১৬টি ঘাট, ৯০টি বসার বেঞ্চ নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ এবং ২৫টি পুকুরের পাড়ে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে।'

এ সময় তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন এবং ভবিষ্যতে এসব পুকুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সকলকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান এবং কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিনাত ফৌজিয়া।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়