News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:২০, ৯ অক্টোবর ২০২৫

একাধিক পাসপোর্টধারীরাই ‘সেফ এক্সিট’ তালিকা করছে: আসিফ মাহমুদ

একাধিক পাসপোর্টধারীরাই ‘সেফ এক্সিট’ তালিকা করছে: আসিফ মাহমুদ

ফাইল ছবি

‘যাদের একাধিক দেশের পাসপোর্ট ও নাগরিকত্ব নেওয়া, তারাই আবার অন্যদের সেফ এক্সিটের তালিকা করছে’— এমন মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ওই ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ লেখেন, যাদের একাধিক দেশের পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব নেওয়া— তারাই আবার অন্যদের সেফ এক্সিটের তালিকা করে।

তিনি আরও লেখেন, যারা ৫ আগস্ট পালিয়েছিল, তাদের সিমপ্যাথাইজাররা কষ্টে মরে যাচ্ছে। বারবার ফ্যাসিস্টদেরই পালাতে হবে। আমাদের জন্ম এদেশে, মৃত্যুও এদেশের মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ। ফ্যাসিস্ট, খুনিদের সঙ্গে লড়তে লড়তে আমার ভাইদের মতো শহিদী মৃত্যু কামনা করি।

গত কয়েক দিন ধরে দেশের রাজনীতিতে ‘সেফ এক্সিট’ শব্দগুচ্ছটি আলোচনায় এসেছে। মূলত সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও উপদেষ্টাদের মধ্যকার সম্পর্ক ও অবস্থান নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে এই প্রসঙ্গকে ঘিরে।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থান) কথা ভাবতেছে।

আরও পড়ুন: ‘সেফ এক্সিট’ খুঁজছে কারা, নাহিদ ইসলামকেই স্পষ্ট করতে হবে

বুধবার ওই বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকেরা উপদেষ্টা ও পরিবেশ অধিকারকর্মী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে প্রশ্ন করেন। 

জবাবে তিনি সংক্ষেপে বলেন, তার (নাহিদ ইসলাম) বক্তব্য তাকেই সাবস্ট্যান্টসিয়েট (সত্যতা প্রমাণ) করতে হবে। তার বক্তব্যকে আমার সাবস্ট্যান্টসিয়েট করার বিষয় না, আমার খণ্ডানোরও বিষয় না।

রিজওয়ানা হাসানের এই মন্তব্যের পরপরই ফেসবুকে পোস্ট দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

ফেসবুকে আসিফ মাহমুদের পোস্টের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা শুরু হয়েছে— একাধিক দেশের পাসপোর্ট ও নাগরিকত্বধারী বলে তিনি কাকে বা কাদের ইঙ্গিত করেছেন? যদিও তিনি সরাসরি কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি।

তবে তার বক্তব্যের সময়কাল এবং ‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলামের মন্তব্যের সঙ্গে মিল থাকায় অনেকে বিষয়টিকে একই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে দেখছেন।

আসিফ মাহমুদের পোস্টে উল্লেখিত ‘৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়া’ প্রসঙ্গটিও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ওই দিন সরকারের ভেতরের একটি অংশের পদত্যাগ, বিদেশ গমন ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল।

এই প্রেক্ষাপটে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বক্তব্যে রাজনৈতিক ও নৈতিক অবস্থান স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

‘সেফ এক্সিট’ ইস্যু ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটেছে। একজন উপদেষ্টার প্রকাশ্য ফেসবুক মন্তব্য, অন্য উপদেষ্টার সংযত প্রতিক্রিয়া এবং নাহিদ ইসলামের পূর্ববর্তী বক্তব্য— সব মিলিয়ে সরকারবিষয়ক উপদেষ্টা মহলে অভ্যন্তরীণ মতভেদের ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকেই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়