জন্মনিবন্ধন ছাড়াই ডিএনসিসিতে মিলবে টাইফয়েড টিকা

ছবি: সংগৃহীত
জন্মনিবন্ধন না থাকা শিশুরাও টাইফয়েড টিকা নিতে পারবে বলে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
বুধবার (৮ অক্টোবর) গুলশান-২ এ ডিএনসিসির নগর ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করেন ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহমুদা আলী।
মাহমুদা আলী জানান, টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে মাসব্যাপী টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ ১০টি অঞ্চলে মোট ১২ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ১৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার ৭৯০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং কমিউনিটির প্রায় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৯ জন শিশুকে এই টিকা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের জন্য বিনামূল্যে এই টিকা প্রদান করা হবে। শিশুদের নিবন্ধনের জন্য সরকারের নির্ধারিত ভ্যাকসিন নিবন্ধন পোর্টাল (https://www.vaxepi.gov.bd/)-এ যেতে হবে। নিবন্ধনের সময় জন্মনিবন্ধন নম্বর প্রদান বাধ্যতামূলক; অন্যথায় নিবন্ধন সম্পন্ন হয় না এবং ভ্যাকসিন কার্ডও পাওয়া যায় না।
যেসব শিশুর জন্মনিবন্ধন নেই, তাদের জন্য মাহমুদা আলী বলেন, নগরের অনেক শিশুর জন্মনিবন্ধন নানা কারণে করা হয়নি। অনেক অভিভাবক নিবন্ধন করতে পারছেন না। তাদের জন্য আমরা বলব, নির্ধারিত কেন্দ্রে শিশুরা সরাসরি আসুক। সেখানে ডিএনসিসির সংশ্লিষ্টরা সার্ভারে তথ্য দিয়ে টিকা কার্ড প্রস্তুত করবেন। এরপর তারা টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ‘জন্মসনদ থাকুক বা না থাকুক টিকা থেকে একটি শিশুও যেন বাদ না যায়’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, যেসব শিশু জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে টিকা কার্ড সংগ্রহ করবে তাদের টিকা সার্টিফিকেট হলুদ রঙের হবে। আর যেসব শিশু জন্মনিবন্ধন ছাড়া টিকা নেবে, তাদের সবুজ রঙের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।
তিনি জানান, টাইফয়েড প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০টি অঞ্চলে মোট ১৮ কার্যদিবসের এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত (শুক্রবার ও সরকারি ছুটি ব্যতীত) মোট ১০ দিন টিকা প্রদান করা হবে। এরপর ১৩ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটি ব্যতীত) মোট ১৮ দিন টিকা কার্যক্রম চলবে।
এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্যাটেলাইট ও আউটরিচ ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটি ব্যতীত) টিকা প্রদান করা হবে। প্রতিটি টিমে ২ জন টিকাদান কর্মী এবং ৩ জন ভলান্টিয়ার কাজ করবেন। ক্যাম্পেইনের সেশন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা ৩০ পর্যন্ত চলবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী আরও জানান, ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, মিরপুর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-এ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি