আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে: শহীদুল আলম

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা অঞ্চলে দখলদার ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভেঙে ত্রাণ পৌঁছে দিতে প্রায় ৪৫টি জাহাজে গাজার দিকে রওনা দিয়েছিলেন ৫০০ অধিকারকর্মী। তবে, ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামে ঐতিহাসিক এ সমুদ্রযাত্রা মাঝপথেই ভেস্তে গেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হস্তক্ষেপে।

এবার ভেস্তে যাওয়ার পথে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ‘মিডিয়া ফ্লোটিলা’ নামে আরেকটি অভিযান শুরু হয়েছে, যেখানে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম।

বুধবার (৮ অক্টোবর) শহিদুল আলম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, তাদের জাহাজে ইসরায়েলি বাহিনী হানা দিয়েছে এবং তাকে আটক করা হয়েছে।

 তিনি বলেন, “আমি শহীদুল আলম, বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী ও লেখক। আমাদের সমুদ্রে আটক করা হয়েছে এবং আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতা ও সহায়তায় তারা গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।”

শহিদুল আলম ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, “আমি আমার সকল কমরেড ও বন্ধুদের কাছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

এদিকে গাজা ফ্রিডম ফ্লোটিলা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের কনভয়ে আক্রমণ করেছে এবং গাজার পথে বেশ কয়েকটি জাহাজ আটক করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কমপক্ষে দুটি নৌকায় উঠে পড়েছে।

আরও পড়ুন: অতীতে মুরগির ফার্মের মালিকও টিভি লাইসেন্স পেয়েছেন: উপ-প্রেস সচিব

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এফএফসি জানিয়েছে, তাদের নতুন ফ্লোটিলার নৌবহর বর্তমানে গাজার উপকূল থেকে ১৫০ নটিক্যাল মাইল (২৭৭ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। নতুন নৌবহরে ৯টি নৌযান আছে, যা খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বহন করছে। এখানে শহিদুল আলমসহ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছেন। শহিদুল আলমকে বহনকারী জাহাজটির নাম ‘কনশান্স’।