‘নির্বাচনে নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন’
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট বিভাগের প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ও পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে চার হাজার পুলিশ সদস্য প্রশিক্ষণ শেষ করেছে, নতুন ব্যাচ প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং আরও একটি ব্যাচ খুব শিগগিরই প্রশিক্ষণে যাবে। নির্বাচনের আগে ধাপে ধাপে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এ প্রশিক্ষণ উদ্বোধন হবে। শুধু পুলিশ নয়, সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার, র্যাব, এপিবিএন ও কোস্টগার্ড সদস্যদেরও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আনসারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বর্তমানে ছয়জন পুরুষ ও চারজন নারী নিরস্ত্র আনসার থাকেন, সঙ্গে অস্ত্রসহ দুজন সদস্য দায়িত্বে থাকেন। এবার প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তায় আরও একজন আনসার যোগ করা হবে। পাশাপাশি দুই থেকে তিনজন পুলিশও প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনী মোবাইল ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে, আর নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, এপিবিএন ও কোস্টগার্ড টহল দায়িত্বে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তার মতে, শিক্ষক ও ভিসিরা অত্যন্ত যোগ্য এবং ছাত্ররাও তাদের মান্য করে। তাই ছাত্র-শিক্ষক আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
তিনি বলেন, প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ আছেন যারা সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা সেই ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি জানান, তৎপরতা অব্যাহত আছে। যাদের তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হবে, তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং পুরস্কৃত করা হবে। ৫ আগস্টের পর লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, একেক জনের একক মত হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে দেশের স্বার্থে সবাই একসঙ্গে কাজ করবে, এটাই প্রত্যাশা।
তার মতে, আমাদের ধৈর্য ও সহ্য একটু কমে গেছে। একটু ধৈর্য ধরলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
সিলেটের সাদা পাথর লুটপাট প্রসঙ্গে তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং বিষয়টি খনিজ সম্পদ অধিদপ্তর তত্ত্বাবধান করছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগেই যদি কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে ফেলেন, তাহলে মুশকিল। সব সংবাদ যে সঠিক হবে তা নয়। তবে যারাই দোষী হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








