News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ১০ নভেম্বর ২০২৫

ককটেল বিস্ফোরণে রাজধানীর সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার

ককটেল বিস্ফোরণে রাজধানীর সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার

ফাইল ছবি

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি সংঘটিত ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজধানী ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। 

সোমবার (১০ নভেম্বর) সরকারের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধর্মীয় সহাবস্থানে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করলে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে। 

এছাড়া, রাজধানীর সকল গির্জা এবং সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আন্তঃধর্মীয় ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

সম্প্রতি সংঘটিত ককটেল হামলার ঘটনায় ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। প্রাথমিক তদন্তে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল এবং সেন্ট জোসেফ স্কুল প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণসহ একাধিক ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ডিএমপি এই জঘন্য ও কাপুরুষোচিত সহিংসতায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তারের জন্য র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-এর সঙ্গে সমন্বয় করে শহরজুড়ে অভিযান জোরদার করেছে।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ, আতঙ্কে নগরবাসী

সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকার চারটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। 

বিস্তারিতভাবে বিস্ফোরণের স্থানগুলো হলো:

  • মোহাম্মদপুর: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনার সীমানার ভেতরে এবং সামনের সড়কে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ।
  • মিরপুর: গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ।
  • ধানমন্ডি ২৭ নম্বর: প্রধান সড়কে মাইডাস সেন্টারের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ।
  • ধানমন্ডি-৯: ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ।

পুলিশ জানিয়েছে, এসব বিস্ফোরণে কোনোরকম হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজধানীর সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে গির্জাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি এবং সহাবস্থানের পরিবেশ রক্ষায় আইনগত সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ডিএমপি ও র‍্যাব যৌথভাবে শহরজুড়ে অভিযানের মাধ্যমে সহিংসতা জড়িত সকলকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। প্রেস উইং বলেছে, এ ধরনের জঘন্য ও কাপুরুষোচিত সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়