News Bangladesh

জেলা সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:৫১, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নীলফামারী ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী-শ্রমিক সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ৮

নীলফামারী ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী-শ্রমিক সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ৮

ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) চার দিন ধরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এভারগ্রিন প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরি (বিডি) লিমিটেডের শ্রমিকদের টানা আন্দোলনের পর সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশ জারি করে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে। এর ধারাবাহিকতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন শ্রমিক হাবিব ইসলাম (২০) নামে এক শ্রমিক। 

তিনি ইপিজেডের ইকো কোম্পানিতে কাজ করতেন। হাবিব নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের কাজিরহাট গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সংঘর্ষে আরও আটজন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে নীলফামারীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরহান তানভিরুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সকালে শ্রমিকরা ইপিজেড এলাকার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। আতঙ্কে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশে জানিয়েছে, টানা আন্দোলনে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯-এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী ২ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী নোটিশে পুনরায় চালুর কথা জানানো হবে।

সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে চবি প্রশাসন

শ্রমিকরা ২০ দফা দাবি তুলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, উৎপাদন টার্গেট কমানো, ওভারটাইম নিশ্চিত করা, ছুটি যথাযথভাবে দেওয়া, বেতন ও ভাতা সময়মতো পরিশোধ, আবাসন ও প্রমোশনের জটিলতা নিরসন, সকাল ৭টার আগে ডিউটি না রাখা, গর্ভবতী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ করা এবং ক্ষুদ্র সমস্যাকে কেন্দ্র করে চাকরিচ্যুত না করা।

এ বিষয়ে জানতে নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাইদের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়