গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি ইসরায়েল: ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তবে এ প্রত্যাহার কার্যকর হবে হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, হামাস নিশ্চিত করলেই যুদ্ধবিরতি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। জিম্মি ও বন্দি বিনিময় শুরু হবে। আমরা পরবর্তী ধাপে সেনা প্রত্যাহারের পরিবেশ তৈরি করব।
গত সোমবার হোয়াইট হাউস একটি মানচিত্র প্রকাশ করে, যেখানে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের সম্ভাব্য সীমারেখাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ইসরায়েল এই নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যেই প্রাথমিক সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে।
শনিবার আল জাজিরা-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। তারা গাজা উপত্যকার প্রশাসন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের হাতে হস্তান্তর এবং সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। তবে হামাস নিজেদের নিরস্ত্রীকরণ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেনি।
তারা জানিয়েছে, আমরা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে অবিলম্বে শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবের পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০
হামাসের প্রতিক্রিয়ার পর ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বোমা হামলা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সেই নির্দেশ অমান্য করে ইসরায়েল শনিবার রাতেই গাজায় তীব্র বিমান হামলা চালায়, যার ফলে হতাহতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু আশা প্রকাশ করেছেন যে খুব শিগগিরিই গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, কূটনৈতিক ও সামরিক চাপে ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নেওয়া ছাড়া হামাসের কাছে অন্য কোনো বিকল্প নেই। দ্রুতই উপত্যকাটি থেকে হামাসের শাসনের সমাপ্তি ঘটানো হবে।
এ সময় নেতানিয়াহু হামাসকে নিরস্ত্র করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বিবিসি ভেরিফাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহারের পরও গাজার প্রায় ৫৫ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থেকে যাবে। ট্রাম্প তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ না নিলে সব চুক্তি বাতিল হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ২০ দফা প্রস্তাবের কিছু অংশ মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির এমন ঘোষণার পর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে নতুন অগ্রগতি তৈরি হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি