News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:২১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন ট্রাম্প

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতির পর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গঠিত হতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সরকারে থাকবেন অন্যান্য বৈশ্বিক নেতারাও, যাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর এই উদ্যোগের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। 
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ২০ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, যা সমর্থন করেছেন নেতানিয়াহু। এর মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরায়েল রাজি হয়েছে।

তবে গাজাভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হামাস এখনো এ প্রস্তাবের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি আশা করছেন হামাসও এতে সম্মত হবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানায়, হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এরপর গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হবে। পরবর্তী ধাপে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় গঠিত হবে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার, যার প্রধান হবেন ট্রাম্প।

আরব ও ইসরায়েলি পক্ষের অনুরোধেই এই দায়িত্ব নিচ্ছেন বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়ে গঠিত এই অন্তর্বর্তী সরকারের নাম হবে ‘দ্য বোর্ড অব পিস’ বা শান্তি প্রশাসন। এর প্রধান লক্ষ্য হবে গাজা ও হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করা।

এই সরকার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কাজ করবে এবং ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মধ্য থেকে যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নিয়ে ভবিষ্যতে গাজায় একটি পূর্ণাঙ্গ ফিলিস্তিনি সরকার গঠনের পথ তৈরি করবে। পাশাপাশি গাজায় একটি সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা হবে এবং তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: সৌদিতে বিলাসিতার নতুন প্রতীক ট্রাম্প প্লাজা

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ব্রিটিশ সেনাদের ইরাকে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন টনি ব্লেয়ার। সেই কারণে তাকে অনেকে ‘ইরাকের কসাই’ হিসেবেও আখ্যা দিয়ে থাকেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়