পাক-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে অংশ নিতে আগ্রহী ইরান

ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে সদ্য স্বাক্ষরিত কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ইরানেরও যোগদান করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি।
ইরান ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানায়, ইরানি বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, চার মুসলিম রাষ্ট্র—ইরান, সৌদি আরব, পাকিস্তান এবং ইরাক—একযোগে একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা চুক্তিতে উপনীত হতে পারে।
ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে সম্প্রতি সই হওয়া এই কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিকে কয়েক দশক ধরে চলমান নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের যেকোনো একটির ওপর আক্রমণকে উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে গণ্য করা হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে গির্জায় হামলা ও অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪
কাতারের ওপর ইসরায়েলের হামলার কয়েকদিন পর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রিয়াদে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ যৌথভাবে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি প্রসঙ্গে দুই দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই পদক্ষেপ কেবল পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে না, বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং বৃহত্তর ইসলামী বিশ্বের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ হবে।
চুক্তিকে ইতিবাচক উন্নয়ন হিসেবে উল্লেখ করে জেনারেল সাফাভি বলেন, এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব হ্রাস পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা একটি আঞ্চলিক ইসলামী জোট প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, তেহরানসহ চারটি মুসলিম রাষ্ট্র যদি সম্মিলিতভাবে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে অংশগ্রহণ করে, তবে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও কৌশলগত ভারসাম্যের জন্য একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করতে পারে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি