আপনার সেনারা বীরের মতো লড়েছে: কিমকে পুতিন
বৈঠক শেষে পুতিন ও কিম। ছবি: রয়টার্স
বেইজিংয়ে কিমের সঙ্গে বৈঠকে উত্তর কোরীয় সেনাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিমকে। বলেছেন, আপনার সেনারা 'বীরের মতো লড়েছে'।
বুধবার এমন তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
বুধবার চীনে ২০টির বেশি দেশের নেতার সঙ্গে সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেন কিম ও পুতিন। আনুষ্ঠানিকভাবে এই কুচকাওয়াজ বা প্রকারান্তরে, মহড়ার পেছনের কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০ বছর পূর্তি।
পুতিন বৈঠকে দুই দেশের 'ভরসা ও বন্ধুত্বের' প্রশংসা করেন। তিনি এটাও বলেন রাশিয়ায় সেনা পাঠানোর প্রস্তাবটি কিম নিজেই দিয়েছিলেন।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা করার পর একঘরে হয়ে পড়ে রাশিয়া। সে সময় মস্কোর দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় পিয়ংইয়ং।
হাজারো সেনা ও কন্টেইনারভর্তি অস্ত্র পাঠিয়ে পশ্চিম রাশিয়া থেকে কিয়েভের সেনাদের 'ভাগিয়ে' দেওয়ার উদ্যোগে ইন্ধন যোগান কিম।
এর আগে ক্রেমলিনকে বিস্মিত করে কিয়েভের সেনারা রাশিয়ার ওই ক্ষুদ্র অংশের দখল নিয়ে নেয়, যা যুদ্ধের মূল প্রবাহের বিপরীতে যায়।
বৈঠকের শুরুতে পুতিন বলেন, 'আমরা সবাই জানি, আপনার উদ্যোগে আপনার বিশেষায়িত বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন করার সংগ্রামে অংশ নেয়।'
আরও পড়ুন: ফ্রান্সে পাঁচজনকে ছুরিকাঘাত, পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত
'এটা আমাদের নতুন চুক্তি মেনেই করা হয়েছে। আমি উল্লেখ করতে চাই, আপনার সেনারা সাহসিকতা ও বীরত্বের সঙ্গে লড়েছে', যোগ করেন পুতিন।
তিনি আরও বলেন, 'আপনার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের আত্মীয়দের আত্মত্যাগ আমরা কখনো ভুলব না।'
গত বছর মস্কো-পিয়ংইয়ং একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি করে। এই চুক্তি ন্যাটো জোটের শর্তের আদলে করা হয়। অর্থাৎ, তৃতীয় কোনো পক্ষ হামলা করলে তারা একে অপরকে সুরক্ষা দেবে।
বেইজিংয়ের ঐ বৈঠকের স্থায়িত্ব ছিল আড়াই ঘণ্টা। আলোচনার পর কিম জংকে তার গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেন পুতিন। বিদায়বেলায় দুই নেতা হাত মেলান, একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। এরপর পুতিন, কিমকে রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান।
২০২৩ সালে সর্বশেষ রাশিয়া সফর করেন কিম। তিনি উত্তর কোরিয়া ছেড়ে বের হন না বললেই চলে। একটি সশস্ত্র ট্রেনে করে তিনি বেইজিং এসেছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি








