News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:১৬, ৪ মে ২০২৫

ইসরায়েলি অবরোধে অনাহারে গাজায় মৃত্যু ৫৭ 

ইসরায়েলি অবরোধে অনাহারে গাজায় মৃত্যু ৫৭ 

ছবি: সংগৃহীত

দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় টানা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই অবরোধের কারণে গাজায় খাবার, পানি ও ওষুধবাহী সহায়তা ট্রাকগুলো সীমান্তে আটকে আছে। 

ইসরায়েলের বাধার কারণে সেগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

এতে, কমপক্ষে ৫৭ জন ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছেন যাদের মধ্যে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধরাও রয়েছেন।

এদিকে চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, শনিবার (৩ মে) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা জোরালো আহ্বান জানিয়েছে। 

তারা বলছেন, খাদ্য ও ওষুধ সংকট চরমে পৌঁছেছে এবং অনাহারে মৃত্যুর ঘটনাইয় নিন্দা প্রকাশ করেছে।

কাতার বলেছে, এই পরিস্থিতি খুবই ভয়ংকর। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ করেছে যেন গাজায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়। 

কাতারের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েল যা করছে তা অমানবিক। এটা কোনো সভ্যতা নয়। বরং এটা নিরীহ মানুষের ওপর হামলা। গাজায় খাদ্য ও পানি না থাকায় মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। তারা জাতিসংঘের ত্রাণ অফিসে গিয়ে খাবার ও ওষুধ খুঁজেছে।

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারাল আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি

জাতিসংঘ জানিয়েছে, পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। তারা তাদের কর্মীদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।

অন্যদিকে, ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ নামের একটি ত্রাণবাহী জাহাজ সমুদ্রে আটকে আছে। মাল্টা দেশ জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে দিচ্ছে না। ড্রোন হামলার কারণে জাহাজের কয়েকজন আহত হয়েছেন। 

জাহাজে যারা আছেন, তারা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন এবং আবার হামলার আশঙ্কায় আছেন।

জাহাজের একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেছেন, আমরা শুধু গাজায় ত্রাণ দিতে চাই। তবুও আমাদের কেউ সাহায্য করছে না।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি তিনি বাতিল করেছেন। এরপর থেকেই গাজায় কোনো ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, পরিস্থিতি যদি এমনই থাকে, তাহলে গাজায় আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে পারে, কারণ ক্ষুধার্ত মানুষ তখন বেঁচে থাকার জন্য যেকোনো কাজ করতে পারে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে এবং ইসরায়েলের অবরোধের কারণে চিকিৎসা সরঞ্জামও পৌঁছাতে পারছে না।

এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক রেডক্রস, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন সংস্থা সাহায্য পাঠাতে চাইলেও সীমান্ত বন্ধ থাকায় তারা সফল হচ্ছে না।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়