News Bangladesh

কুড়িগ্রাম থেকে জুয়েল রানা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:০০, ৪ নভেম্বর ২০২৫

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জামায়াত-বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বি আপন দুই ভাই

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জামায়াত-বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বি আপন দুই ভাই

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কুড়িগ্রাম-৪ আসন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এই আসনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ উভয় দলের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন আপন দুই ভাই। ফলে স্থানীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।

সোমবার (৩নভেম্বর) বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য বিএনপি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এরমধ্যে ২৮ কুড়িগ্রাম-৪ আসনে প্রার্থী হিসেবে আজিজুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়।

অপরদিকে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন বিএনপি প্রার্থীর আপন ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক। দুই ভাইয়ের এই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন এলাকার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়ে উঠেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭১১ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) ভোটার ৯ জন। জেলার রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত।

কুড়িগ্রাম-৪ আসনের ভোটারদের মন জয় করতেই এখন দুই ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন মাত্রা পেয়েছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই আসনটি ঐতিহাসিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলেরই শক্ত ঘাঁটি হিসেবে কুড়িগ্রাম-৪ দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। ফলে দুই ভাইয়ের এই মুখোমুখি লড়াই আসনটিকে জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত আসনে পরিণত করেছে। 

এক প্রবীণ রাজনীতিক বলেন, “রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারীর ইতিহাসে এমন দৃশ্য প্রথম। ভাইয়ের বিপরীতে ভাই-এটা নির্বাচনী মাঠে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। জনমনে প্রশ্ন-কে এগিয়ে থাকবেন?" 

ভোটারদের মধ্যে কেউ বলছেন, এটা পরিবারের ভিতরেও রাজনৈতিক বিভাজনের প্রতিচ্ছবি। আবার অনেকে মনে করছেন,দুই ভাইয়ের জনপ্রিয়তায় এখন দেখা যাক শেষ হাসি কে হাসে।

আরও পড়ুন: আদালতের আদেশ মানেন না শিক্ষকনেতা মামুন, ভুয়া ভাউচারে অর্থ আত্মসাৎ

স্থানীয়রা বলছেন, দুই দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা, তৃণমূল নেতাকর্মীদের সক্রিয়তা ও প্রার্থীদের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার ওপরই নির্ভর করবে কে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবেন।

জামায়াতের প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাক বলেন, আমার বড় ভাই তিনি বিএনপি হতে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন। তিনি যদি সত্যি মনোনয়ন পেয়ে যান তাতে করে আমাকে পরাজিত করতে পারবে না। কেননা জামায়াতের জনপ্রিয়তা এখন অনেক বেড়েছে। দুই ভাই প্রার্থী হলেও নির্বাচনে এর কোন প্রভাব ফেলবে না।

বিএনপি প্রার্থী আজিজুর রহমান বলেন,আমার ছোট ভাই একসময় বিএনপি করতো। আমার কারণে সে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে জামায়াতে যোগ দিয়ে সেই দলের প্রার্থী হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা না করলে আমার পরিচয় এবং পারিবারিক ইমেজের কারণে আমার ছোট ভাই এককভাবে নির্বাচনে সুবিধা নিতে পারত। কিন্তু আমি প্রার্থী হওয়ায় সেই সুযোগ থেকে সে বঞ্চিত হলো। জনগণ আমাকেই চাইছে। তাই আমি আশা করবো আগামী নির্বাচনে দল আমাকে ফাইনাল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়