News Bangladesh

ফরিদপুর সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২২:০১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আপডেট: ২২:০২, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঐতিহ্যবাহী তেলজুড়ী নৌকাবাইচ মেলায় লাখো মানুষের ঢল

ঐতিহ্যবাহী তেলজুড়ী নৌকাবাইচ মেলায় লাখো মানুষের ঢল

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যের অন্যতম ধারক নৌকাবাইচ ও গ্রামীণ মেলা। আধুনিক বিনোদনের ভিড়ে বিলুপ্তপ্রায় এই ঐতিহ্য এখনো ধরে রেখেছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ী নৌকাবাইচ ও মেলা। প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে কুমার নদে এ আয়োজন হয়ে আসছে।

বাংলা ৯ আশ্বিন, তদনুযায়ী ২৬ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এ মেলাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামগুলোতে। নদীর দুই তীরে এবং নৌকায় ভেসে আসা অর্ধলক্ষাধিক মানুষের ঢল নামে।

এ বছর নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ছোট-বড় ১০টি নৌকা। মেলার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজধানীর আরডিডি গ্রুপের কর্ণধার আজিজুল আকিল ডেভিড সিকদার।

নৌকাবাইচ শেষে বিজয়ী তিন নৌকার মালিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। 

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের এলাকার এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে। এজন্য যা করার প্রয়োজন, আমি করব বলে আশাবাদী।

সকাল থেকেই কুমার নদ পাড়ে জমে ওঠে নানা পসরা। মিষ্টির দোকান, খেলনা, খাবার, ইলিশ মাছ ও গেন্ডারি আখ মেলার ঐতিহ্য হিসেবে ভিড় টানে ক্রেতাদের। অনেক পরিবার জামাই-নাতি-নাতনিদের নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন।

রেনিনগর গ্রামের দর্শনার্থী মেহেদী হাসান বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও এসেছি। নৌকাবাইচের পাশাপাশি মিষ্টি ও খেলনা কিনে পরিবারের সবাইকে খুশি করেছি।

সাংস্কৃতিক কর্মী রতন বিশ্বাস জানান, তেলজুড়ী মেলাকে ঘিরে এলাকাবাসী এক অনন্য উৎসবে মেতে ওঠে। কন্যারা নাইওর আসেন, জামাই-সন্তান নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করেন। যেন ঈদের আমেজ বিরাজ করে।

মিষ্টির দোকানদার সিরাজ বিশ্বাস বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে এ মেলায় মিষ্টি বিক্রি করছি। আজ শুধু আমিত্তি বিক্রি করেছি প্রায় দুইশ মন। বিক্রি ভালো হচ্ছে।

তবে ট্রলার ও সাউন্ডবক্সে ওঠতি বয়সী তরুণদের অতিরিক্ত ভিড় এবং উচ্চশব্দে গান বাজানোর কারণে পরিবেশের শ্রী নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনেক দর্শনার্থী। তারা মেলা কমিটির উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়