বিধ্বস্ত জার্মান বিমানটির কো-পাইলটের বাড়িতে তল্লাশি
ফ্রান্সের আল্পসে বিধ্বস্ত হওয়া জার্মানউইংসের বিমানটির কো-পাইলট আন্দ্রেয়াস লুবিৎসের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটি ধ্বংস করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর জার্মান এভিয়েশন এসোসিয়েশন, ভার্জিন এয়ার ও ইজিজেট সহ বেশ কটি ইউরোপীয় এয়ারলাইনস বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে।
আন্দ্রেয়াস লুবিৎসের বাড়িতে চালানো তাল্লাশিতে প্রাথমিকভাবে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া না গেলেও পুলিশ একটি কম্পিউটারসহ কিছু জিনিসপত্র আটক করেছে। উগ্র কোনও গোষ্ঠীর সঙ্গেও তার কোনও সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, ২০০৮ সালে লুবিৎস মানসিক চিকিৎসার জন্য তার বিমান চালনার প্রশিক্ষণ মাঝপথে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। তিনি বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে নিরাপত্তা পরীক্ষায় কো-পাইলটের ব্যাপারে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায় নি বলে জানিয়েছেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস জে মেইৎসিয়ার। বিমান সংস্থা থেকে লুবিৎস বিমান চালানার জন্য `শতভাগ ফিট` ছিলেন বলে জানিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পর জার্মান এভিয়েশন এসোসিয়েশনসহ বিমান সংস্থাগুলো উড়োজাহাজের ভেতরে নতুন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- বিমানের ককপিটে এখন থেকে সব সময়েই দুই জন ক্রু থাকতে হবে।
মঙ্গলবার ফ্রান্সে বিধ্বস্ত হওয়া জার্মানউইংসের বিমানটির খুঁজে পাওয়া ব্ল্যাক বক্স থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফ্রান্সের তদন্তকারী কর্মকর্তারা দাবি করেন, কো-পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটি ধ্বংস করেছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানের পাইলট ককপিটের বাইরে গিয়েছিলেন। এ সময় ককপিটে একা অবস্থান করা কো-পাইলট বিমানটি দ্রুত গতিতে নিচের দিকে নামাতে থাকেন। পাইলট ফিরে এসে দ্রুত ককপিটে ঢোকার চেষ্টা করলেও তা ভেতর থেকে তা ‘লক’ করা ছিল।
ব্ল্যাক বক্সের রেকর্ড শুনে তদন্তকারীরা বলেছেন, আমরা শুনেছি পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য কো-পাইলটকে বলছেন। একই সময় পাইলটের সিট ঘোরার শব্দ ও দরজা লাগানোর শব্দ পাওয়া যায়।
ধারণা করা হচ্ছে কো পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিমানটি নিচে নামানোর বোতাম বারবার টিপতে থাকেন।
ফ্রান্সের আল্পস পর্বতমালায় বিধ্বস্ত জার্মানউইংসের একটি বিমানটির দেড়শ আরোহীরা সবাই নিহত হন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে
নিউজবাংলাদেশ.কম








