স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি
বিএনপি-জামায়াতের হামলা, ভাঙচুর
লালমনিরহাট: পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে নবনির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে ফেরার পথে আক্রমণের শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীসহ দুই কলেজ শিক্ষক। এসময় গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বুড়িমারীতে নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধের ৬ নং সেক্টর হেড কোয়ার্টার স্মৃতিস্তম্ভে বুধবার স্বাধীনতা দিবসের সুচনালগ্নে রাত ১২টা ১ মিনিটে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে ফিরছিল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সূত্র জানায়, লালমনিরহাট-বুড়িমারী স্থলবন্দর জাতীয় মহাসড়কের প্রথম বাঁশকল এলাকায় এলে অতর্কিত তাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে বিএনপি-জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। এসময় দুটি অটো, আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ভাড়ায় চালিত একটি মাইক্রোবাস ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ছেলের একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
এ সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। খবর পেয়ে আরো ছুটে আসেন পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা, ওসি (তদন্ত) মাহফুজ আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) টিএমএ মোমিন। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা নিউজবাংলাদেশকে জানায়, নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধের ৬ নং সেক্টর স্মৃডুস্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ্য দিতে উপজেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষের ভিড় জমে যায়। এসময় পাটগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান ও ৬ নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারি রাশেদুল ইসলাম পাখিকে পেছন ধাক্কা মারে শিবির নেতা বুড়িমারী কিন্ডার গার্ডেনের সহকারী শিক্ষক হাসান।
নেতাকর্মীরা আরো জানায়, কাজী আসাদ এ ঘটনার প্রতিবাদ করে। তারা ধারণা করে, এ প্রতিবাদের জের হিসেবে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে।
পাটগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান আসাদ নিউজবাংলাদেশকে জানান, জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। এসময় সন্ত্রাসীরা গাড়ি ভাঙচুরও করে। দলীয় ফোরামে সভা করে এব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুড়িমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন আহম্মেদ নিউজবাংলাদেশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিউজবাংলাদেশকে বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পাটগ্রাম থানা পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজ আলম নিউজবাংলাদেশকে বলেন, ‘‘স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি শেষে বুড়িমারীতে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর ঘটনায় মামলা করা হবে।’’
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম








