‘মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানির পথে বিদেশি মিডিয়াই প্রধান বাধা’
১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কুয়েত সফরে গিয়ে কুয়েত সরকারের সাহায্য না চেয়ে অনুরোধ করেছিলেন- আমার কাছে জনশক্তি আছে। এই জনশক্তিকে কাজ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কুয়েত সরকার বাংলাদেশের মানুষের জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সরকারি হিসাব মতে প্রায় সোয়া দুই লাখ বাংলাদেশি কুয়েতে আছেন। চাকরির পাশাপাশি আজকে অনেক কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেলি দেশটিতে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। যারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
পরিতাপের বিষয় বর্তমানে কুয়েতসহ মধ্যপাচ্যে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এর জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কিছু সংবাদমাধ্যম এবং সরকারের কূটনৈতিক মিশনকে দায়ী করেছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী নেতা হাবিবুর রহমান। কুয়েত সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক ও প্রবাসীদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে এবং এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য কুয়েতে বাংলাদেশি পণ্যের দ্বিতীয় বাণিজ্য মেলা প্রসঙ্গে সম্প্রতি নিউজবাংলাদেশ.কমের সঙ্গে কথা হয় কুয়েত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হাবিবুর রহমানের।
দীর্ঘদিন কুয়েত প্রবাসী হাবিবুর রহমান ২০০৪ সালে বাংলাদেশে অ্যাবকো ওভারসিজ কর্পোরেশন লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে, এয়ার কার্গো সাভিসেস (সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট) ও কর্ম উদ্যোগ মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ। তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের একজন ঠিকাদারও। ২০১১ সালে কয়েকজন ব্যবসায়ীর উদ্যোগে গড়ে তোলেন কুয়েত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। বর্তমানে এ চেম্বারের সদস্য ৩২ জন। এর মধ্যে দুই জন কুয়েতের। সাত জন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং একজন লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশি।
কুয়েত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে থাকে পশুর চর্বি, পোড়া মবিল এবং পেট্রোলসহ জ্বালানি পণ্য। এর বিপরীতে কুয়েতের বাজারে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া সব পণ্যের চাহিদা অতুলনীয়। তৈরি পোশাকের পরেই রয়েছে এদেশের সিরামিক ও চামড়াজাত পণ্য সামগ্রী।
প্রবাস জীবন শুরুর পটভূমি সম্পর্কে জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান নিউজবাংলাদেশ.কমকে বলেন, জিয়ার আমলে ছাত্রদল-শিবির আমাদের বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছিল। তার আমলে এমন অবস্থা ছিল যে-- দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কোনও শক্তি থাকবে না, বঙ্গবন্ধুর নাম নেয়া যাবে না। ছাত্রলীগ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়ন করা যাবে না। ১৯৮৬ সালে ঢাকায় এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করায় ১০৫টি মামলায় জড়িয়ে পড়ি। এসময় কুয়েতে যাওয়ার জন্য একটি পরীক্ষা দিলে তাতে আমি প্রথম হই। আর সেই সুবাদে প্রথম প্রবাস জীবন শুরু করি। চাকরি নিয়ে ৮৬ সালের ৩০ এপ্রিল কুয়েত যাই।
কুয়েত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি
কুয়েত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে আমাদের সবচাইতে বেশি সহযোগিতা করেছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও বর্তমান প্রবসী কল্যাণ মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তাদের সহযোগিতায় এবং দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সহযোগিতায় ২০১১ সালে আমরা কুয়েতে বাংলাদেশী পণ্যের একটি মেলার উদ্যোগ নেই। যা ২০১২ সালের ২৭, ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
মেলায় কুয়েত প্রবাসী ও স্থানীয় লোকজনের কাছে কোন কোন পণ্যের চাহিদা দেখতে পেয়েছেন?
সিরামিক। বাংলাদেশের সিরামিক পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে। তখন কোনও সিরামিক কোম্পানি অংশগ্রহণ করেনি। এবার আমরা আশা করছি, দেশি সিরামিক কোম্পানিগুলো মেলায় অংশগ্রহণ করবে।এছাড়া কুয়েতে বর্তমানে সবচাইতে বেশি চাহিদা তৈরি পোশাকের। যদিও অনেকে প্রশ্ন করে বলেন, তাদের জনসংখ্যা কত? কিন্তু মনে রাখতে হবে কুয়েত হচ্ছে খুব ধণাঢ্য একটি দেশ। তারা খুবই সৌখিন, চাল-চলনে অনেক আধুনিক। সেখানকার জনসংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। বিভিন্ন দেশ থেকে আরো ৫০ লাখ লোক অবস্থান করছে, যারা ব্যবসা-বাণিজ্য আর শ্রম বাজারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এছাড়া তাদের পাশ্ববর্তী দেশ ইরাক, দুবাই, বাহরাইন, কাতার ও ওমান এরা সবাই একই অঞ্চলের। তাদের সবার বর্ডার আরব আমিরাতের সঙ্গে রয়েছে। এ জন্য আমি মনে করি, বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল কুয়েত।
এতো সম্ভাবনা থাকতে কেন আমরা সঠিকভাবে পণ্য ও জনশক্তি রপ্তানি করতে ব্যর্থ হচ্ছি?
আমাদের কূটনৈতিক সমস্যাতো আছেই। তবে আন্তর্জাতিক চক্র আমাদের পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে শ্রমবাজারকেও প্রতিষ্ঠিত হতে দিচ্ছে না। দখলদার, পরাজিত শক্তি পাকিস্তান সবসময় বাংলাদেশের শ্রমিকদের নিয়ে একটা অপপ্রচারে লিপ্ত থাকে। বিশেষ করে কুয়েতে দুইটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা রয়েছে, একটি হলো আরব টাইমস, অন্যটা কুয়েত টাইমস। আরব টামিস ভারতীয়দের নিয়ন্ত্রণে। কুয়েত টাইমসের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানিদের হাতে। সেখানে আপনি দেখবেন ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কার কেউ যদি কোনও অপকর্ম করে সেখানে ছাপানো সংবাদে তাদের পরিচয় উল্লেখ করা হয় ‘এশিয়ান’ হিসেবে। আর কোনোভাবে একজন বাঙালি যদি এধরনের ঘটনায় ধরা পড়ে তখন তারা যে নিউজ করে ততে নিশ্চিত করে উল্লেখ কের দেয় যে লোকটি ‘বাংলাদেশি’। সেই পরাজিত শক্তি অপপ্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এসব বিষয়গুলোসহ অন্যান্য সমস্যাগুলি যদি কূটনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা যায় তাহলে আমাদের শ্রমবাজার সুন্দর হয়ে উঠবে।
এছাড়া অন্যতম সমস্যা হচ্ছে আমাদের দূতাবাস। এটি বাস্তব কথা, আমাদের যে দূতাবাস রয়েছে, সেখানে আমাদের কোনও ব্যবসায়ী বিপদে পড়লে কোনও রকম সহযোগিতা পাওয়া যায় না। উল্টা তারা আরো নিরুৎসাহিত করে। বলে, এখানে তোমাদের কে আসতে বলেছে? কিন্তু অন্যান্য দেশ যেমন ইন্ডিয়া, নেপাল, ফিলিপাইনিদের কোনও সমস্যা হলে তাদের দূতাবাস ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের ব্যবসায়ীদের কোনও সমস্যা বা শ্রমিকের কোনও সমস্যা হলে তারা পাওনা আদায়ের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু আমাদের দূতাবাস কখনো এ কাজগুলো করে না, তারা উল্টা আমাদের কর্মীদের নিরুৎসাহিত করে।
দ্বিতীয় হচ্ছে পাসপোর্ট সমস্যা। এর সমস্যার কারণে শ্রমিকরা অনেক সময়ে বেতন বোনাস পায় না। তার জন্য দূতাবাস সহযোগিতা করে না। তবে বর্তমান সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সহযোগিতায় এ বিষয়গুলোয় অনেকটা উন্নতি হয়েছে। যা হয়েছে তা মন্দের ভালো, কিন্তু পর্যাপ্ত নয়। আমরা কুয়েত চেম্বারের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের সমস্যাগুলো আরো ভালোভাবে তদারকি করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।
তৃতীয় সমস্যা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)। আমি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো, প্রবাসীদের এমআরপি সমস্যা দূর করতে যেন দয়া করে দূতাবাসগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সরঞ্জামাদি দিয়ে দেন।
দুইদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক কোন অবস্থায় রয়েছে?
আপনারা জানেন, ২০১২ সালে আমরা প্রথমবারের মতো কুয়েতে সিঙ্গেল কান্ট্রি বাংলাদেশে ট্রেড ফেয়ারের আয়োজন করেছিলাম। তার আগে অর্থাৎ ২০১০-১১ সালে কুয়েতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ১৫ মিলিয়ন ডলার আর আমদানি ছিল ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। কুয়েত থেকে জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ আমদানি হয়। ২০১৩-১৪ সালে কুয়েতে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ মিলিয়ন ডলারে। তার মানে ২০১২ সালের ট্রেড ফেয়ারের মাধ্যমে কুয়েতে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কুয়েত চেম্বার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশিদের বিষয়ে কুয়েত সরকারের মনোভাব কেমন?
কুয়েতের শ্রমবাজারে প্রচুর শ্রমিক ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এ সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধের পরে যখন সারা কুয়েত জুড়ে বোমা আর মাইন ছড়ানো ছিল তখন কোনও উন্নত দেশের সেনাবাহিনী এ মাইন পরিষ্কার করতে পারেনি। এরশাদ সাহেবের সিদ্ধান্তের সূত্রে আমাদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কুয়েতকে মাইনমুক্ত করেছিল। সে কারণে তারা আজও আমাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের আর্মি এখনো সেখানে জাতিসংঘের মিশনে কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, কুয়েতে বর্তমানে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা সে দেশের সরকারের তত্ত্বাবধানে দেয়া হয়ে থাকে। সে জন্য আমি মনে করি কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানির এখনও সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। সরকার যদি কূটনৈতিকভাবে এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে তাহলে নতুন করে প্রায় ২ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
তবে কুয়েতের শ্রমবাজার বন্ধ থাকলেও তাদের কোম্পানিগুলো উচ্চপর্যায় থেকে অনুমতি সাপেক্ষে বিশেষ কোটায় লোক নিচ্ছে। এই কায়দায় গত বছর প্রায় ৪ হাজার লোক পাঠানো হয়েছে। এবার আরো ৩ হাজার লোক যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
কুয়েতে একজন শ্রমিক প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরি (চাকরির শুরুতে) পেয়ে থাকে। এর মধ্যে তাদের খাওয়া খরচ নিজেদের আর থাকা কোম্পানির।
কুয়েত-বাংলাদেশ চেম্বার শ্রম বাজার উন্মুক্ত করার জন্য একজন লবিস্ট নিয়েগ করেছিল। কিন্তু আমাদের সরকারের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তবে আমরা হাল ছেড়ে দেইনি। আশা করি আবারও কুয়েতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্মুক্ত হবে।
আসন্ন মেলার প্রস্তুতির বিষয়ে কিছু বলুন।
কুয়েতে তিনদিনের বাংলাদেশি পণ্যের একক বাণিজ্য মেলা ‘বাংলাদেশ ট্রেড ফেয়ার ২০১৪’ আগামী ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। কুয়েত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (কেবিসিসিআই) উদ্যোগে এ মেলা শেষ হবে ২৫ এপ্রিল ২০১৫। মেলায় বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য বিভিন্ন পণ্যের ১০০টি স্টল থাকবে। মেলার মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকবে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা।
কুয়েতের মিশরেফ শহরের ইন্টারন্যশনাল ট্রেড ফেয়ারস গ্রাউন্ডে ২৩ এপ্রিল স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ‘বাংলাদেশ ট্রেড ফেয়ার ২০১৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। মেলায় যেসব প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে পারবে, তাদের মধ্যে রয়েছে- জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান, ঔষধ শিল্প, সিরামিক, পাটজাত পণ্য ও হ্যান্ডিক্রাফটস, ব্যাংক-বীমা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও তথ্য যোগাযোগ, ফুড প্রোডাক্টস, গার্মেন্টস শিল্প, চামড়াজাত শিল্প, লেদার গুডস, রিয়েল এস্টেট, মধু, ভেজিটেবল ও পর্যটন শিল্প প্রতিষ্ঠান।
কুয়েত ছোট হলেও তেল সমৃদ্ধ দেশ। দক্ষিণে সৌদি আরব ও উত্তরে ইরাক বেষ্টিত দেশটি একটি রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। রাজধানীর নাম কুয়েত সিটি।
ব্যক্তি জীবন
১৯৬৮ সালের ২৮ জুনে বরিশালের গৌরনদী-আগৈলঝড়ায় জন্মগ্রহণ করেন হাবিবুর রহমান। গৌরনদী-আগৈলঝড়ায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইদ্রিসের দশ ছেলে আর এক মেয়ের মধ্যে তিনি সপ্তম। ১৯৯৯ সালে মুন্নী রহমানেক বিয়ে করেন তিনি। তাদের দুই ছেলে ও এক কন্যা রয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/একে
নিউজবাংলাদেশ.কম








