News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২০:২১, ৮ আগস্ট ২০২৫

গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয় তারেক রহমানের

গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয় তারেক রহমানের

ফাইল ছবি

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের রায়ে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে পুনর্গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়েছে, এখন দরকার জনগণের ঐক্যবদ্ধ রায়। সেই রায়ের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রের ভিত্তিতে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৪টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় সমমনা জোট, এলডিপি ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আয়োজিত এক যৌথ মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ বক্তব্য দেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আপনাদের ঐক্য ও সহযাত্রার মাধ্যমে দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় দেশে একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। জুলাইয়ে ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ জনতার সম্মিলিত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসান ঘটেছে, সেটি গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার এক মোড়লগ্ন।

তিনি আরও বলেন, এই অর্জন আমরা ধরে রাখতে চাই আসন্ন নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও রায়ের মাধ্যমে।

এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন: তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান

সমমনা জোটের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান হায়দার, সমমনা জোটের আরেক প্রধান সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

তারেক রহমান তার বক্তব্যে আরও বলেন, এই নির্বাচন যেন শুধুমাত্র ক্ষমতার পালাবদল না হয়, বরং গণতন্ত্র ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার লড়াইয়ের চূড়ান্ত অধ্যায় হয়ে ওঠে। আমাদের লক্ষ্য কেবল নির্বাচন নয়, বরং বাংলাদেশকে একটি সংবিধানসম্মত, মানবাধিকারভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক এবং কল্যাণকেন্দ্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা।

তিনি সমমনা দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, আপনাদের ঐক্য ধরে রাখার মাধ্যমে আমরা একটি সর্বজনীন জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে পারবো, যা এই রূপান্তরের প্রধান চালিকাশক্তি হবে।

জুলাই মাসজুড়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, পাটকল ও তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, নাগরিক সমাজের রাস্তায় নেমে আসা এবং পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের নিষ্ক্রিয়তা বা পক্ষত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নতুন রাজনৈতিক মোমেন্টামের জন্ম দেয়। ফ্যাসিবাদী বলয়ের পতনের পর দেশজুড়ে সংবিধান সংশোধন ও অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সংলাপের দাবি উঠে আসে। এ প্রেক্ষাপটেই তারেক রহমান এই সভায় দেশের নতুন রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সুস্পষ্ট বার্তা দেন।

বক্তব্যে তারেক রহমান আসন্ন নির্বাচনে দলীয় ও জোটগত প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন এবং বলেন, যারা ফ্যাসিবাদী শাসনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, যারা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল, তারা যেন আর কখনও রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে না পারে—সেজন্য একটি প্রতিরোধ ও বিকল্প কাঠামো গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।

মতবিনিময় শেষে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র প্রকাশ না করা হলেও সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন, পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া, এবং জোটগত ইশতেহার বিষয়ে পৃথক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়