নগর উন্নয়নে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব সমাধানে বদ্ধপরিকর সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের নগরাঞ্চলের টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাজধানী ঢাকাসহ সব নগরাঞ্চলের উন্নয়নে ইতোমধ্যে সরকার বহুমুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে।

রবিবার (৫ অক্টোবর) ‘বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

ড. ইউনূস বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৫’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর দিবসটির জাতিসংঘ ঘোষিত প্রতিপাদ্য— ‘পরিকল্পিত উন্নয়নের ধারা, নগর সমস্যায় সাড়া’— বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম নগরায়িত দেশগুলোর একটি। কিন্তু যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে নগরায়নের সুফল পুরোপুরি কাজে লাগানো যাচ্ছে না। একদিকে রাজধানীকেন্দ্রিক অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও ভারসাম্যহীন নগরায়ন ঘটছে, অন্যদিকে দেশের অন্যান্য নগর এলাকার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে রাজধানীকেন্দ্রিক নানা সংকট নাগরিক জীবনকে জটিল করে তুলছে। এসব সংকট মোকাবিলায় দ্রুত, স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।”

নগর সংকট মোকাবিলায় দ্রুততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা একটি সম্ভাবনাময় নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছি। এর ধারাবাহিকতায় অচিরেই নগর সমস্যার টেকসই ও পরিবেশবান্ধব সমাধান এবং দেশের সব নগরাঞ্চলের সুষম উন্নয়ন সম্ভব হবে।”

আরও পড়ুন: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত: আলী রীয়াজ

তিনি আরও বলেন, “নগর সংকট মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকারী, কমিউনিটি গ্রুপ, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সহযোগীসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, যৌথ ও সচেতন অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নগর জীবনের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।