News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:৫৫, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা গ্রেপ্তার

সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার শামসুদ্দোহাকে ঢাকার নবাবগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, সাবেক এই অতিরিক্ত আইজিপির বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। সেই মামলায় রবিবার তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নবাবগঞ্জ থানা সূত্রে জানায়, শামসুদ্দোহা খন্দকার নবাবগঞ্জের পানালিয়ায় তার নিজ বাড়িতে ছিলেন। গতকাল শনিবার তিনি মদ পান করে বাসার কাজের লোকজনকে হুমকি–ধমকি দেন। রাত ১১টায় বাসার এক নারী গৃহকর্মী জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯–এ কল দিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানান। নবাবগঞ্জ থানা–পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় শামসুদ্দোহাকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক সদস্য। তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের দেখেও বাসার গৃহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছিলেন শামসুদ্দোহা। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ রাতভর সেখানে অবস্থান করে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহার বাসার কাজের চার নারী গৃহকর্মীসহ কয়েকজনকে বেতন না দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। নিজের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দিয়ে তাদের গুলি করার হুমকি দেন। পরে পুলিশ দেখে তিনি তার কক্ষের দরজা আটকে ভেতরে অবস্থান করেন। দীর্ঘ সময় পুলিশ সদস্যরা তার কক্ষের দরজা খোলার অপেক্ষায় থাকেন। গভীর রাত থেকেই পুলিশের একাধিক টিম তাকে গ্রেপ্তারে কাজ করতে থাকে। এ সময় শামসুদ্দোহার অস্বাভাবিক আচরণে পুলিশ সদস্যরা অনেকটা বিব্রত হন। পরে আজ বেলা ১১টার দিকে তাকে আটক করা হয়। সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তার লাইসেন্সকৃত পিস্তলটি নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ জব্দ করেছে।

আরও পড়ুন: ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

১৯৮৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন শামসুদ্দোহা। ২০১১ সালে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পদোন্নতি পান। তাকে ২০১১ সালে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। দায়িত্ব পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০১৫ সালে তাকে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ৩ মার্চ তিনি পুলিশ বাহিনী থেকে অবসরে যান।

শামসুদ্দোহা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে। ২০১৮ সালে পুলিশ কর্মকর্তা শামসুদ্দোহা ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, শামসুদ্দোহার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই অপরাধলব্ধ আয় প্রায় ৪১ কোটি টাকা। শামসুদ্দোহার বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার অপরাধলব্ধ আয়ের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। এ ছাড়া ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৩৮৩ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। এ বিষয়ে দুদকের মামলা বিচারাধীন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়