ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতে ইসির নির্দেশ
ফাইল ছবি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের স্বাক্ষরে সব জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় প্যানেল প্রস্তুত করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে জমা দিতে হবে। এজন্য সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শ্রেণি বা গ্রেডভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা সংগ্রহ করতে হবে।
চিঠিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, জাতীয় বেতন স্কেলের ১৭ থেকে ২০ গ্রেডের (চতুর্থ শ্রেণি) কর্মচারীদের মূল প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। তবে প্রিজাইডিং অফিসারদের সহায়ক হিসেবে প্রয়োজনে আলাদা তালিকা প্রস্তুত করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনভাবে নির্বাচন আয়োজনের পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি
কে কোন পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—
প্রিজাইডিং অফিসার: প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা, ক্ষেত্রবিশেষে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক।
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার: দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা, কলেজ ও মাদ্রাসার ডেমনস্ট্রেটর, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
পোলিং অফিসার: বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
চিঠিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সততা, দক্ষতা, সাহসিকতা, নিরপেক্ষতা, পদমর্যাদা, জ্যেষ্ঠতা ও কর্মদক্ষতাকে গুরুত্ব দিয়ে কর্মকর্তা নির্বাচন করতে হবে। কোনো বিতর্কিত কর্মকর্তা-কর্মচারী কিংবা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। প্রয়োজনে কর্মকর্তাদের বয়স, শারীরিক সক্ষমতা ও মানসিক অবস্থার তথ্য সংগ্রহ করে তালিকায় উল্লেখ করতে হবে।
নারী ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত সংখ্যক মহিলা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
এছাড়া শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তাই নয়, তাদের পাশাপাশি আরও ১০ শতাংশ অতিরিক্ত কর্মকর্তার নাম প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার বাইরে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, নির্বাচনি তথ্য ও ফলাফল সংগ্রহ কেন্দ্র, মাঠ পর্যবেক্ষণসহ বিভিন্ন সহায়ক কাজের জন্যও আলাদা একটি প্যানেল তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসি বলেছে, সব শর্ত পূরণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্যানেল কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে হবে। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে এ বিষয়ে কোনো ধরনের গাফিলতি বরদাশত করা হবে না বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








