স্বাধীনভাবে নির্বাচন আয়োজনের পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি
ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে, কারও কোনো প্রভাব ছাড়াই নিজেদের মতো করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন।
তিনি বলেন, কমিশন সর্বশক্তি দিয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করবে।
সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
এ সময় বৈঠকে মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক প্রধান ডেভিড মো ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ফিরোজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি এএমএম নাসির উদ্দীন বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কমিশন কোনও ধরনের ব্লেম নিতে রাজি নয়। সরকার যেভাবে চাইবে, সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। যাতে নির্বাচনের সময় কেউ অভিযোগ করতে না পারে যে কমিশন প্রস্তুত নয় বা যথাযথ ব্যবস্থা নেনি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ সকল সংশ্লিষ্ট সংস্থা আমাদের নির্দেশ অনুযায়ী সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন: “যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, কোনো দল নয়”
নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিনি বলেন, ৩০০ আসনে একসঙ্গে ভোট নেওয়া হলে লোকজন তাদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করবে। যারা ‘মব’ সৃষ্টি করতে চাইবে, তারা সুবিধা পাবে না। অতীতে যেমন হয়েছে, ভবিষ্যতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং কমিশন মিলিতভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের শুনানিতে বিএনপি ও এনসিপির নেতাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এবং তদন্তের পর দোষী প্রমাণিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনে কালো টাকার দৌরাত্ম্য সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে যথাসাধ্য কমানোর চেষ্টা করা হবে।
এছাড়াও তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার প্রত্যাশা প্রকাশ করে বলেন, দলগুলো দেশের স্বার্থ সবার উপরে বিবেচনা করে কাজ করবে এবং শেষ পর্যন্ত একটি আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে পৌঁছাবে।
মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বৈঠকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীকে সমর্থন করে না। তবে, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে।
সিইসি এএমএম নাসির উদ্দীন বলেন, আমরা সর্বশক্তি দিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবো এবং দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করবো। আইনশৃঙ্খলা এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি এবং প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এটিই মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে সিইসির প্রথম বৈঠক। বৈঠকে নির্বাচনের প্রস্তুতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ এবং ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








