News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশে হিন্দুবিদ্বেষী কোনো সহিংসতা নেই: প্রধান উপদেষ্টা

দেশে হিন্দুবিদ্বেষী কোনো সহিংসতা নেই: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের অভিযোগ নাকচ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

তিনি বলেছেন, দেশে হিন্দুবিদ্বেষী কোনো সহিংসতা নেই।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম জেটিও-তে ব্রিটিশ-আমেরিকান সাংবাদিক মেহেদী হাসানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হিন্দুদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগগুলোকে ‘ভুল তথ্য’ আখ্যা দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “বর্তমানে ভারতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ভুয়া খবরের প্রচার।”

২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নেন ড. ইউনূস। অতীতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমি অবাক হয়েছিলাম যখন মানুষ আমাকে অন্তর্বর্তী প্রধান হিসেবে ঘোষণা করল। প্রথমে রাজি হইনি। কিন্তু তাদের ত্যাগ দেখে বলেছিলাম, যদি তোমরা এত কিছু ত্যাগ করতে পারো, তবে আমিও মত বদলাই।”

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। ইউনূস বলেন, “আমি মোদিজির সঙ্গে কথা বলেছি তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত পাঠানো নিয়ে। তিনি বলেছেন, তারা তাকে রাখতে চান। আমি বলেছি, আমরা আপনাকে বলতে পারি না কী করবেন। তবে খেয়াল রাখবেন, যেন তিনি বাংলাদেশের মানুষ বা আমাদের নিয়ে কিছু না বলেন। এ সময় মোদিজি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।”

তিনি আরও বলেন, “ভারত বরাবরই তাকে সমর্থন করেছে। এখনও তারা আশা করছে, তিনি একদিন বাংলাদেশে ফিরে আসবেন পূর্ণ গৌরবে, বিজয়ী নেত্রী হিসেবে।”

নির্বাচন আয়োজনে ১৮ মাস সময় লাগছে কেন—এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের নানা ধরনের দাবি রয়েছে। কেউ এখনই নির্বাচন চায়, আবার কেউ চায় অন্তর্বর্তী সরকার আরও পাঁচ বছর থাকুক। আমাদের তিনটি প্রধান দায়িত্ব—সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। প্রথম দুটি দায়িত্ব সময়সাপেক্ষ হওয়ায় নির্বাচন আয়োজনে সময় লাগছে।”

আরও পড়ুন: “ভারত-বাংলাদেশের মিলনমেলা দুর্গাপূজা”

তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধু নির্বাচন করতে আসিনি। আমাদের লক্ষ্য হলো ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলা, যাতে আর কেউ গণতন্ত্রের নামে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে না পারে।”

মেহেদী হাসান জানতে চান, একটি অস্থায়ী সরকারের কি বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকা উচিত? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা শুরু থেকেই বলেছি, তিনটি কাজ করব—সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। সেটাই করেই আমরা সরে যাব। কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য এই সময়টুকু দরকার।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়