লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসিত ১৭৬ বাংলাদেশি

লিবিয়ার ত্রিপলীর তাজুরা ডিটেনশন সেন্টার থেকে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ১৭৬ জন বাংলাদেশিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহায়তায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। 

প্রত্যাবাসিতরা বৃহস্প‌তিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। 

বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস।

দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশ দূতাবাস লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও আইওএম-এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় ১৭ সেপ্টেম্বর তাজুরা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৭৬ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যাবাসিতরা লিবিয়ার বুরাক এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে (ফ্লাইট নম্বর ইউজেড২২২২) দেশে আসবেন।

আরও পড়ুন: ইতালির পথে নিখোঁজ বরিশালের ৩৮ যুবক এখন লিবিয়ার কারাগারে

লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশারের নেতৃত্বে দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল লিবিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তরের অভ্যর্থনা কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে প্রত্যাবাসিতদের বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম)ও উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত অবৈধ অভিবাসনের নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে প্রত্যাবাসিতদের ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অবৈধ অভিবাসনের ফলে ব্যক্তির আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি পরিবার ও সমাজও দুর্ভোগের শিকার হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করে।

তিনি প্রত্যাবাসিতদের নিজ নিজ এলাকায় অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে এবং দেশে ফিরে মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেন। এই ক্ষেত্রে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রত্যেক নাগরিক দেশের অমূল্য সম্পদ। বৈধ ও নিরাপদ উপায়ে বিদেশে গিয়ে দক্ষতা ও সততার সঙ্গে কাজ করলে প্রবাসীরা কেবল পরিবারের জীবনমান উন্নত করেন না, দেশের সুনামও বৃদ্ধি করেন।

দূতাবাস প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং আইওএমের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।