ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলি ফ্লাইট স্থগিত
ছবি: সংগৃহীত
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দখলকৃত ভূখণ্ডে নতুনভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি কেন্দ্রীয় দখলকৃত অঞ্চলে সতর্কতা সাইরেন বাজানোর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টার কিছু আগে তেল আবিবসহ পুরো মধ্য ইসরায়েলে সতর্ক সংকেত চালু করা হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত করে সফলভাবে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে কিছু অংশ দখলকৃত ভূখণ্ডের বাইরে পতিত হয়েছে। হামলার পর তেল আবিবসহ বিভিন্ন অঞ্চলের লাখ লাখ বসতি স্থাপনকারী আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়। নিরাপত্তাজনিত কারণে বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সমস্ত ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়, যা ভ্রমণকারীদের জন্য ব্যাপক ভোগান্তির সৃষ্টি করে।
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, তারা ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে দুটি ভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এ হামলায় ফিলিস্তিন-২ ক্লাস্টার ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুলফিকার ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত ৭৩
সারি দাবি করেন, এই হামলার ফলে লক্ষ লক্ষ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি বলেন, অভিযানটি গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রথম প্রতিক্রিয়া হিসেবে পরিচালিত হয়েছে।
মুখপাত্র আরও সতর্কবার্তা দিয়েছেন, জায়নবাদী শাসকগোষ্ঠী কখনোই নিরাপত্তা ও শান্তি ভোগ করতে পারবে না এবং আগামী দিনে ইয়েমেনের সামরিক অভিযান আরও তীব্র আকার ধারণ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে ইয়েমেনি হুথিরা প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে। ওইদিন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ নামে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে, যার জেরেই চলমান উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র: মেহের নিউজ, আল জাজিরা
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








