৯ বছরের খরা, এবার কি বদলাবে ইতিহাস?
ফাইল ছবি
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে দীর্ঘদিনের হতাশাজনক পরিসংখ্যান পেছনে ফেলে এবার নতুন ইতিহাস গড়তে চায় বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের পর থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা ১২ ম্যাচে পরাজিত হওয়া টাইগাররা এবার মিরপুরের ঘরের মাঠে সেই অতীত মুছে দিয়ে জয়রথে ফিরতে চায়।
রবিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি, যেখানে বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাসের কণ্ঠে ঝরেছে আত্মবিশ্বাস ও প্রত্যয়।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের রেকর্ড বরাবরই হতাশাজনক। দুই দল এখন পর্যন্ত ২২ বার মুখোমুখি হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৩ ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ জয় ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে, যেখানে মিরপুরেই ৫ উইকেটে জয় এসেছিল টাইগারদের। এরপর একটানা ১২ ম্যাচে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ।
এবার সেই পরিসংখ্যান বদলানোর পালা, বলছেন লিটন। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রেকর্ডের কথা না ভেবে আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরা ক্রিকেট খেলতে চাই। ইতিহাস গড়ার জন্যই তৈরি হয়, আর রেকর্ড ভাঙার জন্যই তো থাকে। আমরা যদি আমাদের মতো খেলি, জয় আসবেই।
টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব পাওয়ার পর শুরুতে টানা দুটি সিরিজ হারলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ জয় করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন লিটন। তিনি মনে করেন, সেই আত্মবিশ্বাস পাকিস্তান সিরিজেও কাজে লাগবে।
শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জিতে পুরো দলের ভেতরে একটা পজিটিভ ভাব এসেছে। তবে কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ সব কিছু আলাদা। আমাদের প্রতিটি ম্যাচেই নতুনভাবে প্রস্তুত হতে হবে। একসঙ্গে ১০ ধাপ এগোনো যায় না, এক-দুই-তিন করে এগোতে হয়। এই সিরিজই সেই অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, বলেন লিটন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের টিকিট অনলাইনে
মিরপুরের স্লো ও ব্যাটসম্যান-বিদ্বেষী উইকেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং অধিনায়ক।
তিনি স্বীকার করেন, আমি যদি বোলার হতাম, মিরপুরে খেলে হয়তো ক্যারিয়ার আরও ভালো হতো। এই পিচে অনেক ব্যাটসম্যান পিছিয়ে গেছে। তবে দল হিসেবে আমরা এখানে উন্নতি করেছি, সিরিজ জিতেছি।
বাংলাদেশ দলের বেঞ্চ শক্তিও এবার বেশ প্রশংসিত।
লিটন জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশনের ভিত্তিতে একাদশ নির্ধারণ করবেন তারা।
আমাদের স্কোয়াডে যারা আছে, সবাই খেলতে সক্ষম। কাকে কখন নামানো হবে, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে, জানান তিনি।
এই সিরিজে পাকিস্তানের স্কোয়াডে রয়েছেন ৯ জন এমন খেলোয়াড়, যারা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন।
লিটনের মতে, এটি দুই দলের জন্যই ইতিবাচক ও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ওরা যেমন আমাদের কন্ডিশন জানে, আমরাও ওদের খেলোয়াড়দের শক্তি-দুর্বলতা জানি। তাই বিশেষ সমস্যা হবে না, বলেন টাইগার অধিনায়ক।
সামনে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ এবং ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে লিটনের মতে, এখনো সেই মেগা ইভেন্ট নিয়ে ভাবার সময় আসেনি।
তার ভাষায়, এই সিরিজগুলোই আমাদের প্রস্তুতির অংশ। আমরা চাই আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখতে। এরপর ধাপে ধাপে প্রস্তুতি নেব।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








