News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:১২, ১২ অক্টোবর ২০২৫

পিআর পদ্ধতির আন্দোলন নির্বাচন বিলম্বের কৌশল: মির্জা ফখরুল

পিআর পদ্ধতির আন্দোলন নির্বাচন বিলম্বের কৌশল: মির্জা ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনকে বিলম্বিত করতেই সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নামে আন্দোলন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছুই এই দেশের মানুষ গ্রহণ করে না। জনগণ সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চায়।

রবিবার (১২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জোটের প্রধান সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পিআর পদ্ধতি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নয়, বরং কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দাবির প্রতিফলন। এই পিআর পদ্ধতি জনগণ চায় না। আন্দোলনের আসল লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা। পিআর জনগণ গ্রহণ করবে না, বিএনপি আগেই বলেছে এটি হবে না। চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছু জনগণ গ্রহণ করবে না।

তিনি বলেন, জনগণ এখন নির্বাচন দেখতে চায়, যার মাধ্যমে তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে গিয়ে তাদের আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে। ১৪ মাসে রাতারাতি সংস্কার হয়ে যাবে—এটা জনগণ বিশ্বাস করে না। তারা চায় গণতন্ত্রে ফিরে যেতে।

মির্জা ফখরুল জানান, সংস্কার কমিশনের বেশিরভাগ প্রস্তাবই বিএনপির ৩১ দফার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। 

আরও পড়ুন: দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে তার অধিকাংশই বিএনপির ৩১ দফায় আগে থেকেই আছে। আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এ বিষয়ে সনদ স্বাক্ষর করা হবে। যে বিষয়গুলোতে একমত হয়নি, সেগুলো নির্বাচনের সময় ম্যান্ডেট নিয়ে জনগণের সামনে যেতে হবে।

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিএনপি সব সময় সংস্কারের পক্ষে ছিল। কেউ কেউ প্রচার করছে যে আমরা সংস্কার চাই না—এটা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। বিএনপি নিজেই সংস্কার আন্দোলনের ফসল।

তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল বিএনপিকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমরা চাই ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হোক। জনগণ এখনই নির্বাচন চায়। আমরা চেষ্টা করছি নতুন করে বাংলাদেশকে জাগিয়ে তোলার—গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এই সুযোগ যেন হারিয়ে না যায়।

আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ঘোষিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সামনে কঠিন পরীক্ষা। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ পরীক্ষিত ও দক্ষ নেতৃত্বকেই বেছে নেবে।

তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে বলেন, কোনো তথ্য বিশ্বাস করার আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করুন। বিভ্রান্তি ছড়ানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে চায়। জনগণ যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

একই সঙ্গে তিনি আহ্বান জানান, একটা অনুরোধ—যে সুযোগ দেশের মানুষ পেয়েছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য, সেই সুযোগ আবার যেন না হারাই। কিছু মানুষ চেষ্টা করছে একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে। একাত্তর হয়েছে বলেই আজ দেশ নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখতে পারি। অনেক ষড়যন্ত্র আছে, কিন্তু তাকে পরাজিত করার শক্তি দেশের মানুষেরই আছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়