হর্ন ব্যবহারে বিআরটিএ’র কড়া নির্দেশনা
ছবি: সংগৃহীত
হাইড্রোলিক, হুটার ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ন ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব হর্ন শুধু জনদুর্ভোগ নয়, সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিআরটিএর সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপক বা উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত যানবাহন এবং রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ছাড়া অন্য কোনো যানবাহনে হাইড্রোলিক, হুটার বা অননুমোদিত হর্ন সংযোজন বা ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২-এর বিধি ৮১ অনুযায়ী পরপর বিভিন্ন সুর সৃষ্টিকারী বহুমুখী হর্ন বা তীব্র, কর্কশ, আকস্মিক, বিকট কিংবা ভীতিকর শব্দের হর্ন সংযোজন করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের হর্ন কেবলমাত্র শব্দদূষণ বাড়ায় না, বরং মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।
আরও পড়ুন: জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা
বিআরটিএ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু মোটরযানে হাইড্রোলিক ও হুটার হর্ন সংযোজনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শব্দদূষণ বেড়ে নাগরিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব হর্নের বিকট ও ভীতিকর শব্দ চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে উৎসাহিত করে, ফলে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সড়ক নিরাপত্তা রক্ষা ও নাগরিক শান্তি নিশ্চিত করতে অননুমোদিত হর্ন ব্যবহারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সংস্থাটি সংশ্লিষ্ট সকল মোটরযান মালিক, চালক ও পরিবহন কোম্পানিকে অবিলম্বে এসব হর্ন অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে যে, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো মোটরযানে হাইড্রোলিক বা হুটার হর্ন ব্যবহৃত হলে বিধি অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিএর এই পদক্ষেপকে পরিবেশবিদ ও নাগরিক সমাজ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, নগরজীবনে ক্রমবর্ধমান শব্দদূষণ রোধে এমন উদ্যোগ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের সড়ক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা দুটোই বাড়বে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








