ইসির অধীনে এনআইডি, অধ্যাদেশ জারি

ফাইল ছবি
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত দায়িত্ব পুনরায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে আনার জন্য ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯’ সংশোধন করে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রবিবার (৫ অক্টোবর) রাতে জারি হওয়া এই অধ্যাদেশে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে “জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণ” এর দায়িত্ব স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে আইনের ধারা ৩-এর উপধারা (৪) প্রতিস্থাপন করে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ধারা ৪-এর উপধারা (২)-এর দফা (ক)-এর ক্রমিক নম্বর (২) দ্বারা ইসির দায়িত্বে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে দফা (ক)-এর ক্রমিক নম্বর (৬), (৭), (৮), (৯) ও (১১) পরিমার্জন করে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অধ্যাদেশ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য ২০২৩ সালে প্রণীত ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন’ বাতিল করতে হবে। ওই আইন অনুসারে এনআইডি কার্যক্রম তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: এবার ১০ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর ভোটের ব্যবস্থা করা হবে: সিইসি
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ পাশ করে এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে হস্তান্তর করে। তবে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে চলতি বছর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আইন বাতিল এবং এনআইডি আবার ইসির অধীনে আনার প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংশোধনী এবং অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি