শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অচলাবস্থা সমাধান হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত
দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে অচলাবস্থা চলছে, শিগগিরই সেই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে অচলাবস্থা চলছে তা দুঃখজনক। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় উদ্বিগ্ন। তবে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তিনি আশ্বাস দেন, শিগগিরই এসব ঘটনার সমাধান হবে।
উপদেষ্টা আরও জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে এবং দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতি কারো কাম্য নয়। তবে সবকিছু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে। চলমান সমস্যাগুলো দ্রুততম সময়ে সমাধান করা হবে এবং এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের আরও ধৈর্য্য ও সহিষ্ণু হওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসন অস্থিরতা সমাধানে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন: ৩ গার্মেন্টস মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ
উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, দ্রুতই সব পক্ষ একে অপরকে বুঝে সর্বপক্ষ ও সর্বজনগ্রাহ্য একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে।
উদাহরণ হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটে বাসায় দেরি করে ফেরা নিয়ে দারোয়ান ও এক ছাত্রীর মধ্যে তর্কাতর্কির পর অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। এতে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এছাড়া গ্রামবাসীর মধ্যে কয়েকজনের আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে যা মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। তবে প্রশাসন ও ছাত্র সংগঠনগুলো সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি রাখার দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের ডিগ্রিকে একীভূত করে একটি কম্বাইন্ড ডিগ্রি দেওয়ার দাবিতে ২৫১ জন শিক্ষক কর্মকর্তাকে শনিবার দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এই সময় বহিরাগতদের হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে একাংশ হল না ছেড়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপদেষ্টা রফিকুল আবরার বলেন, সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করা সম্ভব। স্থানীয় প্রশাসন ও কমিউনিটি কিছু ক্ষেত্রে সহায়তা করছে। আশা করা যায়, সবকিছু দ্রুত সমাধান হবে এবং মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








