News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ১২ অক্টোবর ২০২৫

‘শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানার তথ্য ভিত্তিহীন’

‘শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানার তথ্য ভিত্তিহীন’

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে—এমন দাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই তথ্যকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন গুজব’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় কেউ কেউ দাবি করেছেন যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আরও শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে। এই দাবিগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন গুজব।

তিনি বলেন, “আইসিটির চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে যে, অতিরিক্ত কোনো প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পরিকল্পনা নেই।”

প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরও বলেন, এই ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্যের উদ্দেশ্য হচ্ছে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা। এসব গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘সংশয় নেই ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, শুরু হয়েছে নির্বাচনী আমেজ’

তিনি জনগণকে এসব ভুয়া তথ্য বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের সাধারণ জনগণ, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এসব অপপ্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গুম এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দুটি অভিযোগে সেনাবাহিনীর কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও অনেক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনার কথা ছড়িয়ে পড়ে।

সরকারি নীতির প্রসঙ্গে প্রেস সচিব শফিকুল আলম স্পষ্ট করে জানান, সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) ভেঙে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

তিনি বলেন, সরকার ট্রান্সবর্ডার এবং বহিঃদেশীয় গোয়েন্দা কার্যক্রমে ডিজিএফআই-এর ফোকাস বাড়াতে সংস্থাটিতে কিছু কাঠামোগত সংস্কারের কথা বিবেচনা করছে।

প্রেস সচিবের এই বক্তব্যের মাধ্যমে সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কোনো পরিকল্পনা নেই এবং ডিজিএফআই-এর কাঠামোগত পরিবর্তন হলেও সংস্থাটি বিলুপ্ত করার কোনো উদ্যোগ নেই।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়