News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

“ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে উৎসবমুখর নির্বাচন”

“ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে উৎসবমুখর নির্বাচন”

ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং উৎসবমুখর সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় সংসদের সদস্যদের (এমপি) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।

বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছি। এটি রমজানের ঠিক আগে, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত হবে। 

তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘ সময় পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন পুনরায় শুরু হওয়ায় জনগণের মধ্যে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সাধারণ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, পরিষ্কার, স্বচ্ছ এবং উৎসবমুখর হবে। কিছু শক্তি এখনও নির্বাচন স্থগিত করার চেষ্টা করছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী তা নিশ্চিত করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

তিনি তরুণ ভোটারদের উপস্থিতি সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন, তরুণ ভোটাররা রেকর্ড সংখ্যায় ভোট দেবেন, কারণ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে অনেকের জন্য এটি প্রথমবারের মতো ভোটদান। 

আরও পড়ুন: রাষ্ট্র কোনো ধর্মকে আলাদা করে দেখবে না: প্রধান উপদেষ্টা

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি নতুন সূচনার সাক্ষী হবে। এটি আমাদের ইতিহাসের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে—জাতির জন্য একটি নতুন যাত্রা।

বৈঠকে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা এবং এমপিরা সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময় করেন।

সফররত ইউরোপীয় সংসদ সদস্যরা আশাবাদ প্রকাশ করেন যে, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হতে পারে। এক আইনপ্রণেতা প্রধান উপদেষ্টা এবং তার দলের গত ১৪ মাসের ‘অসাধারণ’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। 
একজন ডাচ এমপি মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ সম্ভবত অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি, যেখানে পরিস্থিতি সঠিক পথে এগোচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য তহবিল বৃদ্ধির আহ্বান জানান। 

তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সম্প্রতি সহায়তার ঘাটতির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুলগুলো পুনরায় চালু করার জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বৈঠকে দেশের বাস্তবায়নাধীন শ্রম সংস্কারের উদ্যোগ তুলে ধরেন এবং জানান, এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক জোরদারে সহায়ক হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়