শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ অনুরোধ পর্যালোচনায় ভারত
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ঢাকার পাঠানো সাম্প্রতিক অনুরোধ তারা পর্যালোচনা করছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) নয়া দিল্লিতে আয়োজিত সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিষয়টি প্রথম প্রকাশ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জয়সওয়াল জানান, বাংলাদেশ থেকে পাঠানো নতুন অনুরোধটি ভারতের নিজস্ব বিচারিক ও অভ্যন্তরীণ আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমরা একটি অনুরোধ পেয়েছি। এটি এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এই বিষয়ে সব আগ্রহী পক্ষের সঙ্গে আমরা গঠনমূলক আলোচনায় থাকব।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র আন্দোলনকারীদের হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে। ওই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও একই সাজা এবং পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান কখনো গোপন হামলা চালায় না: আইএসপিআর
এই রায়ের পর চলতি মাসেই শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আনুষ্ঠানিক অনুরোধ ভারত সরকারকে পাঠায় বাংলাদেশ। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরেও একই ধরনের অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল বলে জানা যায়। তবে এবারই প্রথম দিল্লি প্রকাশ্যে চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করল।
জুলাই ২০২৩–এ তুমুল ছাত্র–জনতা আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে তিনি দেশটির একটি অজ্ঞাত স্থানে অবস্থান করছেন বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছে। এ পর্যন্ত তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে দুটি চিঠি পাঠানো হলেও দিল্লি পূর্বে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের বক্তব্য মূলত দুটি দিক নির্দেশ করে—
১) প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত অনুরোধটি এখনো তাদের নিজস্ব আইনি কাঠামোর মধ্যে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর্যায়ে,
২) বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি তারা প্রকাশ্য সমর্থন জানাচ্ছে।
বাংলাদেশের পাঠানো নতুন অনুরোধ এবং চলমান বিচারিক প্রক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের কূটনৈতিক যোগাযোগ আরও ঘন হবে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছে। তবে দিল্লি আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে কত সময় নেবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








