নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি

নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সুশীলা কার্কি। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল রাজধানী কাঠমান্ডুর সরকারি বাসভবন ‘শীতল নিবাসে’ তাকে শপথ পড়ান।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই সরকারকে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ম্যান্ডেট দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পাউডেল, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল এবং জেন-জির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে সবার সম্মতি হয়।

সুশীলা কার্কি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বে একটি ছোট আকারের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে। শপথের পর রাতেই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক করার কথা রয়েছে। বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব আসতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন সুশিলা কার্কি

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে নেপালে আন্দোলনে নামে জেন-জেনারেশন। গত সোমবার বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে প্রবেশের চেষ্টা করলে গুলি চালানো হয়, এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী নিহত হন। এতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যে। মঙ্গলবার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন কেপি শর্মা অলি এবং এরপর গা ঢাকা দেন। ওইদিনই সাবেক কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। অর্থমন্ত্রীকে রাস্তায় মারধরের ঘটনাও ঘটে।

সুশীলা কার্কি ২০১৬ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতি ছিলেন এবং দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কারণে তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

তিনি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ভারত নেপালকে সবসময়ই সহযোগিতা করেছে।